বহুবার সতর্ক করা হয়েছিল রাজ্য সরকারকে। কিন্তু কাজ হয়নি তাতে। এবার পশ্চিমবঙ্গের আর্সেনিক কবলিত এলাকায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের প্রেক্ষিতে পরিকল্পনামাফিক পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্প দ্রুত রূপায়ণের নির্দেশ দিল জাতীয় পরিবেশ আদালত। বিচারপতি এসপি ওয়াংদি ও বিশেষজ্ঞ সদস্য নাগিন নন্দার বেঞ্চ সম্প্রতি বলেছে, জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরের পক্ষ থেকে আর্সেনিক কবলিত এলাকার জন্য যে পরিকল্পনা ও তার যে সময়সীমার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তা যথাযথ নয়।
রাজ্য সরকারকে এই ধাক্কা দেওয়ার সঙ্গে বেঞ্চ জানিয়েছে, যেখানে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের বিষয়টি জড়িত সেখানে এটার গুরুত্ব অনুধাবন করে দ্রুত প্রকল্পের কাজ রূপায়ণ করা প্রয়োজন। যে সময়সামীর মধ্যে পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহের প্রকল্প রূপায়ণ করা হবে বলে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তর জানিয়েছিল, আদালত তার চেয়ে দ্রুত কাজ শেষ করতে বলেছে।
আদালত সূত্রে খবর, এই বিষয়ে মামলা করেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। ওই মামলায় একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেই কমিটি বেশ কয়েকটি পদক্ষেপের সুপারিশ করেছিল। তার ভিত্তিতে রাজ্য কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা বিস্তারিত তথ্য জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরের তরফে আদালতে জানানো হয়। সেখানে বনগাঁ, বাগদা, গাইঘাটা, বাদুড়িয়া, বসিরহাট–১ ও ২, দেগঙ্গা, স্বরূপনগর, রানাঘাট–১ ও ২ এবং বারাসত–২ নম্বর ব্লকের আর্সেনিক কবলিত এলাকার বাসিন্দাদের পরিস্রুত জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রকল্পের কথা উল্লেখ করা হয়। সেই প্রকল্পগুলির সময়সীমা হিসেবে ২০২১ সালের মার্চ ও ২০২২ সালের জুন মাসের সময়সীমা উল্লেখ করেছিল জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তর। আদালত এই সময়সীমাই কমিয়ে আনতে বলেছে।
গাইঘাটা–সহ উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন ব্লকে সাধারণ মানুষের জল সংগ্রহের অভ্যাসেও বদল আনার চেষ্টা হয়েছে। তাতেও অনেকটা লাভ হয়েছে। হাবড়া–১ ও ২, গাইঘাটা এবং বারাসত–২ নম্বর ব্লকের আর্সেনিক প্রবণ এলাকায় পরিস্রুত জল সরবরাহের জন্য একটি প্রকল্প এই বছর মার্চে চালু করার কথা ছিল। করোনা পরিস্থিতিতে সেই প্রকল্প শেষ করা যায়নি বলে আদালতে রাজ্য জানিয়েছে।
