করোনাভাইরাসের ধাক্কায় বেসামাল বাংলাদেশ। পরিস্থিতি আরও জটিল করে ইদে শিথিল বিধিনিষেধ। তার মধ্যে দেশজুড়ে বিশাল জমায়েত ও করোনাবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠছে। এই পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে কড়া লকডাউন জারি করা হয়েছে। রাস্তায় টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী। কারণ তা না হলেই রাস্তায় নেমে পড়তে পারে সাধারণ মানুষ।
আজ ভোর ৬টা থেকে কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে দেশজুড়ে লকডাউন শুরু হয়েছে। এই বিধিনিষেধে সকল সরকারি-বেসরকারি অফিসের পাশাপাশি গণপরিবহণ বন্ধ থাকবে। নিষেধাজ্ঞা বলবৎ করতে মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও র্যাব-সহ সমস্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, আগের চেয়ে কঠিন হবে এবারের লকডাউন।
সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত কার্যকর থাকবে ‘সবচেয়ে কঠোরতম’ বিধিনিষেধ। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সংবাদমাধ্যমকে এই তথ্য দেন। উল্লেখ্য, ইদ উপলক্ষে গত ১৫ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত ৮ দিনের জন্য লকডাউন শিথিল করা হয়। ওই কদিন চালু করা হয় সব ধরনের গণপরিবহণ। তাতেই সংক্রমণ বেড়ে যায়।
উল্লেখ্য, ইদের সময় অনেকেই কোনও সামাজিক দূরত্ব না মেনে গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলেন। কর্মস্থল ঢাকায় ফিরেছিলেন একইভাবে। এতে করোনা সংক্রমণ বেড়ে গিয়ে প্রতিদিন মৃত্যুর সংখ্যা দুশোতে ঠেকেছে। কিন্তু সংক্রমণ বৃদ্ধির আগে মৃত্যুর সংখ্যা দিনে ১৪/১৫ জনে নেমে এসেছিল। এবার ইদ উপলক্ষে গত ১৫ থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত ছয় দিনে প্রায় ৮৩ লক্ষ মানুষ রাজধানী থেকে অন্য জায়গায় রওনা দেয় বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।