তাঁর বিকৃত আচরণ বরাবরই তাঁকে বিতর্কের শীর্ষে রেখেছে। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আর্জেন্টিনার সর্বশেষ দুটি ম্যাচে আপত্তিকর আচরণ ও ফিফার ফেয়ার প্লে নীতি ভাঙার কারণে এমিলিয়ানো মার্টিনেজ দু’ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন ইতিমধ্যেই। এই শাস্তি মেনে নিয়ে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপ জেতা গোলকিপার।
সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে বিষয়টি মেনে নেওয়ার কথা বলেছেন মার্টিনেজ। ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, “আমি ফিফার নিষেধাজ্ঞা মেনে নিচ্ছি এবং কারও মনে কষ্ট দিয়ে থাকলে তার জন্য ক্ষমা চাইছি।”
মার্টিনেজকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে আলাদা দুটি ঘটনার কারণে। বিশ্বকাপের সেরা গোলকিপার প্রথম শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেন ৬ সেপ্টেম্বর বিশ্বকাপ বাছাইয়ে চিলির বিপক্ষে জেতা ম্যাচে। সেই ম্যাচের পর উদ্যাপন করতে গিয়ে কোপা আমেরিকার রেপ্লিকা ট্রফি নিয়ে অশালীন ভঙ্গি করেন তিনি।
দ্বিতীয় ঘটনাটি ১১ সেপ্টেম্বর, কলম্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে। কলম্বিয়ার কাছে হেরে যাওয়ার পর ক্যামেরা অপারেটরের সরঞ্জামে ধাক্কা দেন। জনি জ্যাকসন নামের সেই অপারেটর পরে কলম্বিয়ান সংবাদমাধ্যমে জানান, তিনি মার্তিনেজের হাতে ‘লাঞ্ছিত’ হয়েছেন এবং এ ঘটনায় তিনি ‘খুবই ক্ষুব্ধ’।
ক্যামেরার সরঞ্জামে ধাক্কা দেওয়া নিয়ে পোস্টে কিছু লেখেননি মার্টিনেজ। তবে উদ্যাপন নিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘উদ্যাপনের ওই মুহূর্তটি অনেক শিশুকে হাসানোর জন্য ছিল এবং কাউকে অসম্মান করার জন্য নয়।’
নিষেধাজ্ঞার কারণে আগামী ১১ অক্টোবর ভেনেজুয়েলা আর ১৬ অক্টোবর বলিভিয়ার বিপক্ষে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলতে পারবেন না মার্টিনেজ। আর্জেন্টিনার হয়ে এ দুটি ম্যাচ খেলতে না পারা নিয়ে মার্টিনেজ বলেন, “ম্যাচে থাকতে না পারার কষ্ট নিয়ে আমি আমার বন্ধুদের সমর্থন করে যাব।”