আবহাওয়া লিড নিউজ

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’

কালীপুজোর আগেই প্রকৃতির চরম বিপর্যয় নেমে আসতে চলেছে। বঙ্গোপসাগরে দেখা দিয়েছে একটি গভীর নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা,যা ক্রমে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে বলে সতর্ক করেছে বিভিন্ন আবহাওয়া দফতর। ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে তার নামকরণ হবে “ডানা” যা কাতার দ্বারা দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া দফতর এখনো নিশ্চিতভাবে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস দেয়নি, তবে অনুমান অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় “ডানা” আছড়ে পড়তে পারে।

আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ২০ অক্টোবর রবিবার উত্তর আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে। এই ঘূর্ণাবর্ত ২২ অক্টোবর মঙ্গলবার মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপে রূপান্তরিত হবে। এরপর এটি আরো শক্তিশালী হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। আবহবিদদের মতে,ঘূর্ণিঝড়টি ওড়িশা থেকে বাংলাদেশের বরিশাল উপকূলের মধ্যে যেকোনো স্থানে ল্যান্ডফল করতে পারে বলে পূর্বাভাস। তবে এই ঘূর্ণিঝড় তৈরির সম্ভাবনা ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ।

ঘূর্ণিঝড়টি যদি ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়ে, তাহলে এর শক্তি অনেকটা বেশি হবে। তবে বাংলাদেশের উপকূলে ল্যান্ডফল করলে এর গতি কিছুটা কম থাকবে এবং ঘন্টায় ১০০ কিলোমিটার গতিতে প্রবাহিত হবে বলে ধারণা।

আবহাওয়া দপ্তর ইতিমধ্যেই মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কতা জারি করেছে। গভীর সমুদ্রে মৎস্যজীবীদের যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সেসময় সমুদ্রে ৫৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে, ফলে সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠবে। সমুদ্র উপকূলে থাকা মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। রাজ্য সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলা দলগুলি প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

নিম্নচাপের প্রভাবে ২২ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেল থেকে উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে ঝোড়ো হাওয়া বইবে সঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে। ২৩ এবং ২৪ অক্টোবর দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার এবং বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গেও রয়েছে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা।