গরমকালটা সুকন্যাকে জেলেই কাটাতে হবে। ১২ জুলাই পর্যন্ত তাঁকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল দিল্লির রাউস অ্যাভেনিউ আদালত। জানা গেছে, গরমের ছুটির পর আদালত খুললে ফের এই মামলার শুনানি হবে। তবে সুকন্যার জামিনের আর্জির শুনানি হতে পারে ২৬ মে। জিজ্ঞাসাবাদ করে চার্জশিট দেওয়ার পরেও কেন তাকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখা হবে এই যুক্তিতে জামিনের আবেদন জানিয়েছেন সুকন্যা। জামিনের আবেদনে বেশ কিছু শারীরিক সমস্যার কথাও জানিয়েছেন।
দিল্লিতে ইডি-র সদর দফতরে ডেকে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পরে গত ২৬ এপ্রিল গ্রেফতার করা হয় অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে। তারপর থেকেই বাবার পাশাপাশি সুকন্যারও ঠাঁই হয় তিহার জেলে। ইতিমধ্যেই বাবা ও মেয়ে দুজনের বিরুদ্ধেই চার্জশিট দায়ের করেছে ইডি।
গরু পাচার থেকে শুরু করে অনুব্রতর যাবতীয় ব্যবসা সুকন্যা দেখাশোনা করতেন বলে ইডির অভিযোগ। ইডির তদন্তকারীরা জানান, অনুব্রত মণ্ডল ও মনীশ কোঠারি দুজনেই জানিয়েছেন ব্যবসায়িক লেনদেন দেখাশোনা করতেন সুকন্যা। যদিও বিষয়টি অস্বীকার করে সুকন্যা দাবি করেন ব্যোমভোলে চালকল, এএনএম অ্যাগ্রোটেকের মতো কোম্পানিতে তাঁর নাম থাকলেও এই সমস্ত ব্যবসার কিছুই তিনি জানতেন না। বাবা বললে চেকে সই করে দিতেন শুধু।
তদন্তকারীরা জানিয়েছিলেন, অনুব্রতের বাড়ির পরিচারক বিদ্যুৎবরণ গায়েনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নমিনি হিসেবে রয়েছে সুকন্যার। তাঁর ইমেল আইডি কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎবরণ গায়েনের আয়কর রিটার্ন জমা করা হত। সুকন্যার ডাকনাম ‘রুবাই’ ব্যবহার করে সেই ই-মেল আইডি তৈরি হয়েছিল। গত শনিবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে সুকন্যা মণ্ডলের হয়ে জামিনের আর্জি দায়ের করেছিলেন তাঁর আইনজীবী অমিতকুমার।