অনুব্রত মন্ডল গরু পাচার কান্ডে গ্রেফতার হওয়ার পরই সিবিআইয়ের হাতে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তে নেমে সিবিআই জানতে পেরেছে বীরভূমের দুটি বড় পশু হাট থেকেই নিয়ন্ত্রিত হত গরু পাচার। এমনকি এই গরু পাচার কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন শাসক দলের বিভিন্ন নেতা এবং প্রশাসনিক আধিকারিকরাও।
সিবিআই এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, একটি পশু হাট ছিল ইলামবাজার ব্লকের সুখবাজারে। অন্যটি মুরারই ২ ব্লকের হিয়াতনগরে। এই দুটি হাটের মধ্যে সুখবাজার পশু হাটটি থেকে মোটা টাকার গরু পাচার হত। জানা গিয়েছে, এই হাট থেকেই মুর্শিদাবাদ সহ বিভিন্ন জেলায় এমনকি পড়শি দেশেও গরু পাচার হয়।
সূত্রের খবর, ওড়িশা এবং পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, বিহার হয়ে যেসব গরু বীরভূমে আনা হত সেগুলির বেশির ভাগই ইলামবাজার পশুহাটে আসত। ইলামবাজারের পশুহাট সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী সপ্তাহে এক দিন খোলা থাকার কথা। ইলামবাজার থেকে বোলপুর হয়ে পাচার হওয়া গরু পৌঁছত নলহাটি। সেখান থেকে গরু চাতরা হয়ে হিয়াতনগর রোড সংলগ্ন গরুর হাটে পৌঁছত। পাচারের আগে গরুগুলিকে সেখানেই বিশ্রামে রাখা হত। এরপর সীমান্ত থেকে সিগন্যাল পেলেই রাতের অন্ধকারে গরুগুলিকে ট্রাকে চাপিয়ে হিয়াতনগর মোড়, ওমরপুর হয়ে জঙ্গিপুর নিয়ে যাওয়া হত। পাশাপাশি রাতে নির্দিষ্ট এক বা দু’ঘণ্টা সীমান্তের চোরা পথ খুলে দেওয়া হত। সীমান্তে বিএসএফের মদতেই এই কাজ করা হত বলেই অভিযোগ ওঠে।
সিবিআইয়ের সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে এক গরু ব্যবসায়ীর নামও রয়েছে। সেই ব্যক্তি ওখানকার গরু পাচার সিন্ডিকেটের নেতা বলেই জানা গিয়েছে। সুখবাজারে তাঁর বাড়ি। আর এই ব্যক্তির সঙ্গেই অনুব্রতের দেহরক্ষী সায়গাল হোসেনের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল বলে দাবি করছে সিবিআই।