আবার ডেঙ্গিতে মৃত্যু হুগলিতে।এবার বৈদ্যবাটিতে ডেঙ্গিতে মৃত্যু হল এক নাবালিকার।মৃতের নাম কায়ানাত পারভীন বয়স ১৫ বছর।বৈদ্যবাটি পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা নাবালিকা গত কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিল। শুক্রবার দুপুরে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।রাতে মৃত্যু হয়।এলাকাবাসীদের অভিযোগ পুরসভার বিরুদ্ধে।নিকাশি পরিস্কার ঠিকমত হয় না।মশা নিধনের ক্ষেত্রেও পুরসভার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন বাসিন্দাদের।গত বুধবার উত্তরপাড়ার এক প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গিতে।এবার বৈদ্যবাটিতে নাবালিকার মৃত্যু।এখনো পর্যন্ত নয় জনের মৃত্যু হল হুগলিতে।ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছয় হাজার ছাড়িয়েছে।
মৃতের মামা সঞ্জু হোসেন বলেন, গতকাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিল, ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ দেওয়া হচ্ছিল। রক্ত পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। গতকাল রিপোর্ট আনতে গিয়ে ভর্তি করে নেয়। শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল পরে সংগ্রাহীন হয়ে পড়ে। রাতেই মৃত্যু হয় তার।
ইতিমধ্যেই ডেঙ্গু নিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক তরজা বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সদস্য স্নেয়াংশু মোহান্তর অভিযোগ, সারা রাজ্যের সঙ্গে বৈদ্যবাটি পৌরসভায় ডেঙ্গু ছেয়ে গিয়েছে। বৈদ্যবাটি পুরসভার পক্ষ থেকে যে পরিষ্কার করা হয় তা শুধু নাম মাত্র । মশা নিধন করতে যে তেল ব্যবহার করা হয় সেটা তেল নয় জল। শুধু তাই নয় যে ব্লিচিং ব্যবহার করা হয় চুনের সাথে ব্লিচিং মেশানো হয়। তাতে ব্লিচিংয়ের কোনো গন্ধ থাকে না। পুকুর গুলো সমস্ত আবর্জনা তুবে পরিণত হয়ে রয়েছে। পুরো এলাকাটাই আবর্জনা। সবেতেই কাটমানি, কাটমানি যেখানে এরাও সেখানে।
বিজেপি অভিযোগ উড়িয়ে বৈদ্যবাটি পৌরসভার চেয়ারম্যান পিন্টু মাহাতো বলেন, এলাকা ঠিকভাবে পরিষ্কার করা হচ্ছে ও তেল স্প্রে করা হচ্ছে। সমস্যা হল মানুষ সচেতন নয়। বিজেপি যে অভিযোগ করেছে তা ভিত্তিহীন।
