বাংলাদেশ

ফের রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে পাঠাল বাংলাদেশ‌

আন্তর্জাতিক চাপকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ভাসানচরে পাঠানোর কাজ দ্রুত গতিতে চালাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। বুধবার পঞ্চম দফায় রোহিঙ্গাদের একটি দলকে সমুদ্রের মাঝে বিচ্ছিন্ন দ্বীপটিতে পাঠানো হয়েছে। কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের শরণার্থী শিবির থেকে পঞ্চম দফায় নোয়াখালির ভাসানচরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় অন্তত ২ হাজার ২৬০ জন রোহিঙ্গার একটি দল। আজ চট্টগ্রামের বোট ক্লাব থেকে নৌবাহিনীর ছ’টি জাহাজে ভাসানচরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন শরণার্থীরা। এর আগে চার দফায় দ্বীপটতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল প্রায় ১০ হাজার রোহিঙ্গাকে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সাল থেকে প্রায় চার লক্ষ উদ্বাস্তু রোহিঙ্গা কক্সবাজারে ছিল। তারপর ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর নতুন সাত–আট লক্ষ অসহায় মানুষ স্রোতের মতো আসতে থাকে। তখনই তাদের সব ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি। তাই ক্যাম্পের ভেতরে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র ঢুকেছে, অবাধে মাদক ও নারী পাচারের মতো চরম সব অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। সুতরাং শুধু বাংলাদেশের স্বার্থে নয়, রোহিঙ্গা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থায় কর্মরত লোকজনের কল্যাণ ও নিরাপত্তার স্বার্থে ভাসানচরে তারা গেলে সেটির বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে বলেই মনে করছে হাসিনা প্রশাসন।
সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, নিজস্ব তহবিল থেকে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা খরচ করে এক লক্ষ রোহিঙ্গার জন্য ভাসানচরে উন্নতমানের থাকার ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে। সেখানে প্রত্যেক পরিবারের জন্য আলাদা ঘর, আধুনিক সেনিটারি পদ্ধতি, বিশুদ্ধ খাবার জল, স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য হাসপাতালে ও ক্লিনিং এবং বাচ্চাদের শিক্ষাদানের জন্য সব ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।