আন্তর্জাতিক ব্রেকিং নিউজ

ফের কাবুলের পাক দূতাবাসে হামলা

ফের পাক দূতাবাস লক্ষ্য করে গুলি চলল আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে। তাতে গুলিবিদ্ধ হন এক পাক নিরাপত্তা রক্ষী। যদিও বরাতজোরে তিনি প্রাণে বেঁচে যান। এক সন্দেহভাজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে বেশকিছু আগ্নেয়াস্ত্র। ইতিমধ্যেই কাবুল পুলিশের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, দূতাবাস সংলগ্ন একটি বাড়ি থেকে হামলা চালানো হয়। তবে হামলার দায় এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গি সংগঠন স্বীকার করেনি।

কাবুল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার দূতাবাস থেকে বেরনোর সময় পাক কূটনীতিবিদ উবেইদ-উর-রেহমান নিজামনির উপর হামলা চালানো হয়। এরপরই উবেইদ-এর নিরাপত্তা রক্ষী পাক জওয়ান ইসার মহম্মদ তাঁকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেন। ফলে গুলি ইসার মহম্মদের গায়ে লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই পাক জওয়ানকে কাবুলের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

উল্লেখ্য, চলতি বছরেই কাবুলে পাক দূতাবাসের হামলার চেষ্টা হয়েছিল। যদিও সেই হামলা ব্যর্থ হয়ে যায়। বারবার দূতাবাসের উপর হামলার ঘটনা ঘটায় প্রশ্নের মুখে পড়েছে আফগানিস্তানের তালিবান সরকার। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আফগানিস্তানের তালিবান সরকার। এদিকে পাক প্রশাসনের অভিযোগ, টিটিপি জঙ্গিদের মদত দিচ্ছে তালিবান। পাকিস্তানে হামলা চালিয়ে আফগানিস্তানে আশ্রয় নিচ্ছে এই জঙ্গিরা। যদিও ইসলামাবাদের এই অভিযোগ মানতে নারাজ আফগানিস্তানের তালিবান সরকার। এর মধ্যেই সামনে এল আফগানিস্তানে বিস্ফোরণের ঘটনা।

তালিবান মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন পাক মদতপুষ্ট হক্কানি গোষ্ঠী। যদিও হক্কানিদের একেবারেই পছন্দ করে না তালিবান। কার্যত সেই কারণেই কিছুদিন পর পরই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ লেগেই চলেছে। আর আফগানদের এই খেসারত দিতে হচ্ছে রক্তের বিনিময়ে। কিছুদিন আগেও কাবুলের একটি মসজিদ-এ প্রার্থনার সময় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল। যার জেরে অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আহত হয়েছিলেন ৬৫ জন। এমনকী মসজিদের ইমামেরও প্রাণ গিয়েছিল। তবে,বিস্ফোরণের কারণ এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।