পুর নির্বাচনের মুখে রাজ্যে সবচেয়ে আলোড়ন তুলেছে যে ঘটনা তা হল আনিশ হত্যাকাণ্ড। আনিশ ইস্যুতে রাজ্যের শাসক দলকে এক হাত নিয়েছে সব বিরোধী দলগুলি। পথে নামছে বাম-ছাত্র যুবরা। উত্তাল মহানগর থেকে মফঃস্বল।
এরই মাঝে আজ, মঙ্গলবার আনিশের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে লড়াই করার বার্তা দিলেন জেএনইউ ছাত্র নেতা উমর খালেদের বাবা সৈয়দ কাশিম রাসূল ইলিয়াস। তিনি দাবি করেন, আনিশের হত্যাকান্ড কোনো ছোট ঘটনা নয়। এর পেছনে বড় চক্রান্ত রয়েছে। এনআরসি ও সিএএ বিরোধী আন্দোলনে বহু মেধাবী ছাত্র ছাত্রীরা অংশ নিয়েছিল। শুধু আনিশ নয় উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি সহ বিভিন্ন জায়গাতে এই ধরণের ঘটনা ঘটেছে। অনেকের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে সাজানো তথ্য প্রমাণের উপরে দাঁড়িয়ে। তাই তিনি রাজ্য সরকারকে লিখিত আবেদন জানাবেন এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তের দায় ভার সিবিআইয়ের হাতেই যেন দেওয়া হয়। তিনি দাবি করেন, আনিশের পরিবারের লোকেরাও তাই চাইছেন। তিনি আরও বলেন, এই লড়াই এখানেই শেষ হয়ে যাচ্ছে না। তার এই রাজ্যে যারা সংগঠনের নেতৃত্ব রয়েছে তারা আনিশের বাড়ির লোকের পাশে থাকবে। কোনো অবস্থায় তাকে দরকার পড়লে তিনিও আসবেন।
পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশ যেভাবে তদন্ত করছিল তাতে স্পষ্ট এই খুনের ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনো যোগসূত্র আছে। তাই এই বিশেষ তদন্ত টিম তার ক্ষমতা, তার এক্তিয়ার এখনো স্পষ্ট করেনি রাজ্য সরকার। তিনজন সাসপেন্ড হওয়া অফিসারকে কি কারণে সাসপেন্ড করা হল তাও স্পষ্ট করেনি সরকার। তাই তিনি মনে করেন গণতন্ত্রে নির্বাচিত সরকারের প্রথম কাজ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা। আর সেটা যদি সরকার না করতে পারে তাহলে সেই সরকার রেখে দেওয়ার প্রাসঙ্গিকতা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন তিনি।
এদিন তিনি তিনতলার ওই ছাদ ও অনিশকে ছুঁড়ে ফেলার জায়গা পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, আনিশের পরিবার এখন শোকাগ্রস্থ। শুধুমাত্র সান্ত্বনা দিতে তিনি আসেননি। তিনি প্রকৃত দোষীদের শাস্তি দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। একইসাথে তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আনিশের বাড়িতে এসে সমবেদনা জানানোর পরামর্শ দেন।