আজ পানিয়ারাতে জেলা পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাও কর্মসূচি নেয় বাম ছাত্র-যুব সংগঠন। অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে কর্মসূচির পূর্বেই বিশেষ ব্যবস্থা নেই হাওড়া গ্রামীন পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য মোতায়েন রাখা হয়েছে জল কামান। পুলিশ সুপারের অফিসের মধ্যে যাতে কেউ ঢুকে না পড়তে পারে তার জন্য মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
পাশাপাশি, পুরো অফিসকে গার্ড-রেল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়। আনিস খান হত্যার প্রতিবাদে হাওড়া গ্রামীন এসপি অফিস ঘেরাও কর্মসূচি। বিশাল পরিমাণ এ পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। সাথে জলকামান। বিশাল সংখ্যায় ছাত্র-যুবরা এই প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নেয়। বামপন্থী ছাত্র-যুবদের দাবি, অবিলম্বে আনিশের হত্যাকাণ্ডে যারা যুক্ত তাদেরকে গ্রেফতার করতে হবে। জেলা পুলিশ সুপারের উপরেও কড়া শাস্তির দাবি জানায় বিক্ষোভকারীরা। যে সমস্ত পুলিশকর্মীরা এই ঘটনায় যুক্ত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তারা।পাশাপাশি যাদের নির্দেশে ওইদিন রাতে পুলিশকর্মীরা আনিশের বাড়িতে যায় তাদের নাম সামনে এনে অবিলম্বে তাদের গ্রেফতারের দাবি জানায় তারা। মিছিল পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে পৌঁছলে তাদের রাস্তা আটকায় পুলিশ। এরপরই বচসা বাঁধে ছাত্র যুব কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের। সেই বচসা পৌঁছয় হাতাহাতিতে। উদ্ধত বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। পুলিশের দাবি ছাত্র যুব বিক্ষোভের মধ্যে থেকে প্রচুর সংখ্যায় ইঁট পাথর পুলিশকে লক্ষ করে ছোঁড়া হয়।
সুপারের অফিসের সামনেও প্রচুর সংখ্যায় ইঁট পাথর পড়ে থাকতে দেখা যায়। পুলিশের লাঠির আঘাতে কয়েকজন বিক্ষোভকারী আহত হয় বলে বাম সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। ঠিক একইভাবে বিক্ষোভকারীদের ছোঁড়া পাথরের আঘাতে আহত হন কয়েকজন পুলিশকর্মী।পুলিশ সুপারের অফিস কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়।