অবশেষে আনারুল হোসেনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই তৎপরতা শুরু হয় আনারুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করার।রামপুরহাটের ঘটনায় তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আনারুলের নির্দেশেই আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।বগটুইতে পৌঁছে এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আনারুলকে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দেন।
বগটুইয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, “এখানকার ব্লক তৃণমূল নেতা আনারুল ঘটনার আগাম খবর পেয়েও পুলিশকে খবর দেয়নি। সে তার দায়িত্ব পালন করেনি। আমি আনারুলকে আত্মসমর্পণ করতে বলছি। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করুক।” তারপর তারাপীঠ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বগটুইয়ের ব্লক সভাপতি এই তৃণমূল নেতাকে।
বগটুইতে পৌঁছে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আনারুল সব জানতো তবু পুলিশকে খবর দেয়নি, যথাযত দায়িত্ব পালন করেনি। আনারুল হোসেনের বিরুদ্ধে এমনভাবে’ কেস সাজাতে’ হবে যাতে কোনোভাবেই জামিন না পায়।”
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়ার পর রামপুরহাট -১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি আনারুল হোসেনের বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। কিন্তু আনারুলের বাড়িতে গিয়ে তার সন্ধান পাওয়া যায় নি। মোবাইলের সূত্র ধরে তারাপীঠ থেকে রামপুরহাট কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত আনারুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । পুলিশের উদ্দেশ্যে এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ভালো করে মামলা সাজাতে হবে। যাতে অভিযুক্তরা জামিন না পায়। আর যারা পালিয়েছে, তাদেরকেও ধরতে হবে।রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী পুলিশের ব্যর্থতার কথাও স্বীকার করে নেন।