বাংলাদেশ

বাংলাদেশের ১৯ জেলায় আমফান সতর্কতা

আমফান ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথে রয়েছে দিঘা থেকে বাংলাদেশের হাতিয়া দ্বীপ। আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, শেষ রাতে অথবা বুধবার বিকালে সাতক্ষীরা, খুলনা এবং চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী স্থান দিয়ে বাংলাদেশের উপকূল অঞ্চল অতিক্রম করতে পারে।
চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৮৪৫, কক্সবাজার থেকে ৭৯৫, মোলা থেকে ৭৩০ এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৭২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে আমফান। এটি উত্তর–উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে খুলনা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে ১৯ মে শেষরাত অথবা ২০ মে বিকেল অথবা সন্ধ্যা নাগাদ বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে। আর তখনই দাপট দেখাবে এই ঘূর্ণিঝড়।
ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে সতর্ক করা হয়েছে। উপকূলের ১৫ থেকে ১৯টি জেলায় ভয়ংকর তাণ্ডব চালাতে পারে আমফান। ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৭ হাজার সাউক্লোন শেল্টার। সরিয়ে নেওয়া হবে ২০ থেকে ২৫ লক্ষ মানুষ। সেই সঙ্গে গবাদিপশুও।
অতীত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আগেভাগেই নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে সেলটার। দফায় দফায় বৈঠক করে চলেছে প্রশাসন। উপকূলবর্তী জেলার প্রশাসকদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক সেরে নিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান। উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরাজেপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে বলে খবর।