সরাসরি আছড়ে পড়বে না, রাজ্যের পাশ কেটে বেরোচ্ছে ঘূর্ণিঝড় আমফান। কিন্তু তার প্রভাব ভাল মতোই টের পাচ্ছে ওড়িশা। আমফানের প্রভাবে প্রবল বেগ ঝড় শুরু হয়েছে ভুবনেশ্বর ও সংলগ্ন এলাকায়। দুপুরে বৃষ্টি হয়েছে কলকাতাতেও। বুধবার সকাল থেকেই ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে উত্তর ওড়িশার উপকূলবর্তী অঞ্চলে। পারাদ্বীপে ঘণ্টায় ৮৫ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইছে।
ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের প্রধান এস এন প্রধান জানান, পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায় ৪০টি এনডিআরএফ টিম মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতি মুহূর্তে পরিস্থিতির ওপরে নজর রাখা হচ্ছে। সাধারণ মানুষকে উপকূলীয় অঞ্চল থেকে সরিয়ে নিয়ে যায় ওড়িশা প্রশাসন। এই কাজটিতে ওড়িশা যথেষ্ট দক্ষ। গত কয়েক বছর ধরেই ভয়াল ঘূর্ণিঝড়ের মুখোমুখি হচ্ছে ওড়িশা। প্রতিটি ঝড়ের আগেই ‘শূন্য মৃত্যুর’ লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে নামে নবীন পট্টনায়ক সরকার।
ফণীর অভিজ্ঞতা থেকে আরও গুছিয়ে ময়দানে নেমেছে এনডিআরএফ। এবার তাদের সঙ্গে রয়েছে ওয়ারলেস সেট, স্যাটেলাইট ফোন এবং অন্যান্য সরঞ্জাম। বালেশ্বর জেলায় সব থেকে বেশি প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে আমফানের। দুপুরের পর থেকে এই জেলায় ১১০ থেকে ১২০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। দাপট বাড়বে বৃষ্টিরও। তাই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ওড়িশা উপকূলের ভদ্রক, বালেশ্বরের বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষজনকে সরিয়ে আনছে এনডিআরএফ। উপকূলের বালাসোরে যাদের মাটি ও খড়ের তৈরি বাড়ি তাদের সরানো হচ্ছে দ্রুত।