জেলা

আমফানের সঙ্গে বাঘের গর্জন!‌

করোনার জেরে চলছে লকডাউন। যার চতুর্থ দফায় বেড়ে হয়েছে ৩১ মে পর্যন্ত। এবার তারই মধ্যে আমফানের আস্ফালন কপালে ভাঁজ ফেলেছে। সঙ্গে দোসর হয়েছে ব্যাঘ্রগজর্ন। হ্যাঁ, এই পরিস্থিতি এখন পর্যটনকেন্দ্র সুন্দরবনের। ফলে উভয়সঙ্কটে পড়েছে সুন্দরবনবাসী। ঘরেও বিপদ, বাইরে বেরোলেও বিপদ। ফলে এই জোড়া বিপদ থেকে কি করে রেহাই পাওয়া যায়, তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছে সুন্দরবনের বাসিন্দারা।
এদিকে নদীতে কাঁকড়া, মাছ খেতে মে–জুন মাসে সাধারণত রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার চলে আসে লোকালয়ের কাছাকাছি। যেখানে মাছ–কাঁকড়া বেশি সেখানেই ভিড় করেন মৎস্যজীবীরাও। আর তাতেই ঘটে যায় অঘটন। এখন আমফানের আতঙ্কে দিন কাটাতে হচ্ছে তাঁদের। আয়লা, বুলবুলে তছনছ করে দিয়েছে সবকিছু। তা গুছিয়ে উঠতে না উঠতে আবার আমফান ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রুকূটি। লকডাউনের জেরে টান পড়েছে পেটে। সতর্কতা জারি থাকা সত্ত্বেও বাধ্য হয়ে নদীতে যেতে হচ্ছে মৎস্যজীবীদের।
মৎস্যজীবীদের প্রতিক্রিয়া, পেটের টানেই নদীতে যেতে হচ্ছে। যে সব খাঁড়িতে মাছ–কাঁকড়া বেশি পাওয়া যায়, সেখানেই থাকে বাঘের উপদ্রুবও। প্রাণ হাতে নিয়ে মাছ ধরতে হচ্ছে। কোনও উপায় না থাকায় গভীর জঙ্গলে খাড়িতে গিয়ে মাছ ধরতে হয়। মাঝে মধ্যে মৎস্যজীবীদের খোঁজ মেলে না। পরে গভীর জঙ্গলে পাওয়া যায় দেহ। বাঘের আতঙ্ক বুকে নিয়ে মাছ ধরাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার উপর দোসর আমফান। আবার সব হারানো আশঙ্কা।