দেশ লিড নিউজ

‘‌তৃণমূল কংগ্রেসকে উপড়ে ফেলে দিতে হবে’‌

রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে কথা দিয়েও ডুমুরজলায় না আসতে পারায় আমি দুঃখিত। রবিবার ভার্চুয়াল সভায় বললেন অমিত শাহ। তারপরেই তোপ দেগে বলেন, ‘‌বাংলাকে বামেদের সময় থেকে পিছিয়ে দিয়েছেন মমতা। কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলির সুবিধা পাচ্ছে না পশ্চিমবঙ্গের গরীব মানুষরা। আর তার জন্য মমতাজি দায়ী। পিএম কিষাণ যোজনার সুবিধা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই রাজ্যের কৃষকরা পাচ্ছেন না। আসলে মমতা সরকার ভাতিজা কল্যাণে ব্যস্ত। খুব শীঘ্রই বাংলায় আসছি।’‌ আসলে বিধানসভা নির্বাচনে পাখির চোখ বাংলা। তাই এই মন্তব্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বলে মনে করা হচ্ছে।
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়–সহ একাধিক তৃণমূল কংগ্রেস নেতার বিজেপিতে যোগদানের সভায় রাজ্যে পরিবর্তনের ডাক দিলেন অমিত শাহ। রবিবার দুপুরে দিল্লি থেকে ভার্চুয়াল ভাষণে তিনি বলেন, ‘‌নবাগতদের বিজেপিতে যোগদানে নিশ্চিতভাবে শক্তিশালী হবে দল। আসন্ন নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসকে ছুঁড়ে ফেলবে বিজেপি। কেন গত তিন মাস ধরে কেন একের পর এক নেতা তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ছেন তা মমতাদির একটু ভেবে দেখা উচিত’।
এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তোপ দেগে বলেন, ‘‌১০ বছরে মা–মাটি–মানুষের কথা ভুলেছে সরকার। স্বৈরাচারী, তোলাবাজির সরকার চলছে বাংলায়। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মানুষ ক্ষমা করবেন না। সরকারে এসেই বাংলার সমস্ত গরীব মানুষের জন্য আয়ুষ্মান ভারত চালু করবে বিজেপি সরকার। আপনি রুখতে পারবেন না। মা–মাটি স্লোগান বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তিন মাস ধরে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে আসছেন অনেকে। শুভেন্দু–রাজীব–সহ এত নেতা–কর্মী কেন এলেন বিজেপিতে? তৃণমূল কংগ্রেসে একা থেকে যাবেন মমতাজি। বাংলার পুণ্যভূমিকে রক্তাক্ত করেছে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার।’‌
উল্লেখ্য, রবিবার ডুমুরজলার এই সভাতেই অমিত শাহের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করার কথা ছিল রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বৈশালী ডালমিয়া, রথীন চক্রবর্তী, প্রবীর ঘোষালদের। কিন্তু শুক্রবার দিল্লির ইজরায়েল দূতাবাসের সামনে বিস্ফোরণের জেরে শেষ মুহূর্তে বাতিল হয় সফর। এদিন সেই সভাতেই ভার্চুয়াল ভাষণ দিলেন অমিত শাহ।