ব্রেকিং নিউজ রাজ্য

বাংলা দখলের হুঁশিয়ারি দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বাংলায় স্বাস্থ্য যোজনা সূচনা হতে দেয়নি বাংলা সরকার। বাংলায় বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী শপথ নেওয়ার ১ মিনিটের মধ্যেই চালু হয়ে যাবে আয়ুষ্মান ভারত। মঙ্গলবার ভার্চুয়াল সভা থেকে এভাবেই বাংলার কুর্সি দখলের হুঙ্কার ছাড়লেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর এই হুঙ্কার তৃণমূলের পক্ষে অস্বস্তি তৈরি করল বলে মনে করা হচ্ছে। এদিন শুরু থেকেই বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে আক্রমণ করে গিয়েছেন তিনি।
করোনা বিজেপিকে আটকাতে পারবে না বলে সুর চড়িয়ে তিনি জানান, সারা দেশে যখন আইন প্রতিষ্ঠা হয়েছে, তখন একমাত্র বাংলাতেই হিংসা বিদ্যমান। ভারতীয় জনতা পার্টি আবার সোনার বাংলা বানাতে চায়। এই স্বপ্নকে সফল করতে গেলে জনসংযোগ, জনসংবাদ খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা কাজ করে হিসেব দেওয়ার পক্ষপাতী। ভারতের ইতিহাস লেখার সময় এই ভার্চুয়াল জনসভার কথাও লেখা হবে।
তাঁর কথায়, ৬ বছর ধরে গরিবদের জন্য কাজ করে গিয়েছে মোদী সরকার। জন ধন যোজনায় ৩১ কোটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা সরাসরি পাঠানো হয়েছে। আয়ুষ্মান ভারতে ৫০ কোটি ভারতীয় উপকৃত হয়েছেন। ৫ লাখের স্বাস্থ্যবিমা করা হয়েছে। ১ কোটি ভারতীয়ের অস্ত্রোপচার হয়েছে বিনামূল্যে। বাংলায় গরীবদের চিকিৎসার কোনও অধিকার নেই? গরীবদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে বাংলার সরকার। ৮ কোটি গরীব ঘরে সিলিন্ডার দিয়েছে মোদী সরকার। আড়াই কোটি ঘরে বিদ্যুৎ উজ্জ্বলা প্রকল্পে। মমতাজি, আপনি বন্ধ কারখানার সংখ্যা দিন।
পুরনো কাসন্দি হিসাবে অমিত শাহ সেই সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, ৩৭০ অনুচ্ছেদ, ৩৫এ অনুচ্ছেদের বিলোপ, অযোধ্যায় রামমন্দির মামলার ফয়সলা, তিন তালাক এবং সাড়ে ৯ কোটি কৃষককে ৭২ হাজার কোটি টাকা তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানোর কথা তুলে ধরেন। মমতাদি বাংলার কৃষককে সেই টাকা দিতে দিচ্ছে না। বঞ্চিত করছে বাংলার কৃষকদের। গরীব কৃষকদের সঙ্গে কেন রাজনীতি করছেন? প্রশ্ন তুলেছেন অমিত। পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়েও মমতার বিরুদ্ধে সুর চড়ান অমিত এবং অভিযোগ করেন, ‘‌আমরা যখন পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরানোর জন্য ট্রেনের ব্যবস্থা করেছি। তখন উনি ওই ট্রেনকে করোনা এক্সপ্রেস বলে ডাকছেন। এক দিন এই করোনা এক্সপ্রেস আপনাকে রাজ্যের বাইরে ছুঁড়ে ফেলবে। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে চাই রাজনীতি করার জন্য অনেক ময়দান আছে। দয়া করে এই রাজ্যের গরীব মানুষের সঙ্গে রাজনীতি করবেন না। এই রাজ্যের সরকারের জন্য এখানকার কৃষকরা কেন্দ্রের টাকা পান না। প্রচুর মানুষের প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও রাজ্য সরকারের জন্য আয়ুষ্মান ভারতে প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারেন না।’‌