সঠিক সময়ে রাজ্যের মর্যাদা ফেরত পাবে জম্মু–কাশ্মীর। লোকসভায় শনিবার এই মন্তব্যই করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে সেই ‘সঠিক সময়’টা কখন আসবে সে ব্যাপারে কিছু বলেননি তিনি। স্রেফ ৩৭০ ধারা বিলোপ নয়, মোদী জমানায় রাজ্যের মর্যাদাও হারিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর। এই নিয়ে লোকসভায় বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ‘যখন কাশ্মীরকে বিভক্ত করা হয়েছিল, তখন কোথাও লেখা ছিল না যে ভূস্বর্গ রাজ্যের মর্যাদা পাবে। সঠিক সময়ে আলাদা রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে জম্মু ও কাশ্মীরকে।’
২০১৯ সালের আগস্ট মাসে কেন্দ্রীয় সরকার ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের পাশাপাশি জম্মু–কাশ্মীরকে দু’ভাগে বিভক্ত করে। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসাবে জন্ম নেয় জম্মু–কাশ্মীর এবং লাদাখ। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী যে কাশ্মীরি নেতার জন্য রাজ্যসভায় চোখের জল ফেলেছেন, ভূস্বর্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সেই গুলাম নবি আজাদও তখন সরব হয়েছিলেন কেন্দ্রের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে।
এদিন জম্মু–কাশ্মীর রাজ্যের মর্যাদা কেড়ে নেওয়া ও ৩৭০ ধারা বিলোপ নিয়ে লোকসভায় প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা। সরকারের কাছে জানতে চান, রাজ্য ভাগ ও ৩৭০ ধারা বিলোপের পর কী এমন উন্নতি হয়েছে কাশ্মীরের? কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পাল্টা জবাব, ‘মাত্র ১৭ মাস হয়েছে রাজ্য ভাগ হয়েছে। তার মধ্যে এত প্রশ্নের অর্থ কী? প্রশ্ন তো তাঁদের করা উচিত, যাঁরা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে কাশ্মীরে শাসনভার সামলেছেন। ৭০ বছরে কতটুকু উন্নতি হয়েছে? আমি কাশ্মীরের উন্নতির খতিয়ান দিতে দায়বদ্ধ। কিন্তু যাঁরা প্রশ্ন তুলছেন, তাঁরা নিজেদের একবার প্রশ্ন করে দেখতে পারেন, তা হলেই পাল্টা প্রশ্নের গ্রহণযোগ্যতা স্পষ্ট হবে।’
কংগ্রেসের বহরমপুরের সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘এতদিন হয়ে গেল, তার পরেও কাশ্মীরের পণ্ডিতদের ২০০–৩০০ একর জমি ফিরিয়ে দিতে পারেনি কেন্দ্রীয় সরকার। কেন নির্বাচনী ইস্তাহারে বিজেপি কাশ্মীর থেকে প্রতারিত ব্রাহ্মণ পণ্ডিতদের ফেরানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল? তা হলে কি নির্বাচন মেটার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিশ্রুতিও হাওয়া মিলিয়ে গিয়েছে বিজেপির?’ অমিত তাঁর জবাবে বলেন, ‘যখন কাশ্মীর বিভক্ত করা হয়েছিল, তখন কোথাও লেখা ছিল না যে ভূস্বর্গ রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাবে না।’