তিনদিনের সফরে সোমবার মণিপুরে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। জানা গিয়েছে, সোমবার বিকালের মধ্যেই ইম্ফল এসে পৌঁছবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনদিনের সফরে এসে সেখানের প্রশাসনিক আধিকারিক, সেনা আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তারই মধ্যে রবিবার রাতেও নতুন করে অশান্ত হয়েছে মণিপুর। একাধিক জায়গায় অশান্তি এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার সকাল থেকেই সেনা এবং নিরাপত্তারক্ষীদের ওপর গুলির লড়াই চলছে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্রে জানা গিয়েছে, মণিপুরে গিয়ে রাজ্যবাসীর সঙ্গে কথা বলে সেখানে শান্তি ফেরানোর চেষ্টা করবেন তিনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে গুয়াহাটিতে গিয়ে অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করেন মণিপুরের ১৪ জন বিধায়ক ও স্পিকার। রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানানও তিনি। সেই দলে ছিলেন স্পিকার সত্যব্রত এবং রাজ্যের চার মন্ত্রী ও ১০ বিধায়ক। তাঁদের মধ্যে ১০ জন বিজেপির। এছাড়া এনপিপি ও এনপিএফের দু’জন করে বিধায়ক।
প্রসঙ্গত, শান্তি প্রক্রিয়ার মধ্যেই ফের নতুন করে মণিপুরে হিংসা ছড়িয়েছে। প্রাণ গিয়েছে একজনের। এই নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা সরকারি ভাবে পৌঁছল ৭৩-এ। বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই মণিপুরে অশান্তি চলছে। এর মূলে রয়েছে মেটেই জনজাতির সঙ্গে আদিবাসীদের সংঘাত। মণিপুরের মেইতেই জনজাতিকে তফসিলি উপজাতির তকমা দেওয়ার দাবি দীর্ঘদিনের। মণিপুরের বিজেপি সরকার সেই দাবি মেনে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। তাতেই ক্ষুব্ধ কুকি-সহ অধিকাংশ আদিবাসী সংগঠন। তাদের বক্তব্য, মেইতেইরাও যদি তফসিলি উপজাতির স্বীকৃতি পেয়ে যায়, তাহলে আদিবাসীদের অধিকার ক্ষুণ্ণ হবে। তাছাড়া, মণিপুরের বিজেপি সরকার স্থানীয় বনাঞ্চলগুলিতে সমীক্ষা চালাচ্ছে। আদিবাসীদের আশঙ্কা, সরকার এবার বনভূমি ধ্বংস করতে চলেছে।