দেশ ব্রেকিং নিউজ

পাহাড়ে স্বপ্ন ফেরি শাহের

আবার নয়া প্রতিশ্রুতিতে ভর করে ভোট বৈতরণী পার করার চেষ্টা করলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ক্ষমতায় এলে বদলে যাবে পাহাড়। ২ মে’‌র পর পাহাড়ে হবে দীপাবলি। গোর্খা সমস্যার সমাধান হবে, দার্জিলিং হবে মিউনিশিপ্যাল কর্পোরেশন, হবে জলের ব্যবস্থা। দার্জিলিংয়ের সভা থেকে পাহাড়ের মানুষদের এমন একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেলেন অমিত শাহ। দার্জিলিংয়ে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাবি করলেন, ‘‌পাহাড়ের পরিবেশ নষ্ট করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বিজেপি ভবিষ্যৎ নষ্ট করতে দেব না। কোনও কিছুতেই আর ভুগতে হবে না আমার গোর্খা ভাই–বোনদের।’‌
দার্জিলিংয়ের সভা থেকে মঙ্গলবার অমিত শাহ বলেন, ‘‌আমি জানি গোর্খা সমস্যার একটি স্থায়ী সমাধান কী হতে পারে। কিন্তু আমাদের সংবিধান অনেক বড়। আপনাদের কথা দিয়ে যাচ্ছি পাহাড় সমস্যার সমাধান কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার একসঙ্গে করবে। আপনাদের আর আন্দোলন করতে হবে না। রাজ্যে বিজেপি সরকার এনে দিন, ১১ গোর্খা গোষ্ঠীকে তপসিলি উপজাতির মর্যাদা দেওয়া হবে।’‌
উল্লেখ্য, এবারের পাহাড়ে বদলে গিয়েছে রাজনৈতিক সমীকরণ। বিজেপির বহুদিনের বন্ধু বিমল গুরুঙ্গ পাহাড়ে ফিরেছেন ঠিকই, তবে তিনি এবার তৃণমূলকে জেতাতে পণ করেছেন। পাহাড়ের তিনটি আসনই গোর্খা জনমুক্তি মোর্চাকে ছেড়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতে পাহাড়ও আর নিরাপদ নয় বিজেপির কাছে। তাই সোমবার প্রথমে কালিম্পং, আর মঙ্গলবার দার্জিলিংয়ে গিয়েও প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তাঁর অভিযোগ, ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে পাহাড়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল সিপিএম। ১২০০ বেশি গোর্খার বুকে গুলি করেছিল। আজও সেকথা ভুলিনি। আর দিদিও কম অত্যাচার করেননি। বহু লোককে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। হাজারের বেশি লোকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আপনাদের কথা দিচ্ছি, এখানে ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার তৈরি হওয়ার পর এক সপ্তাহের মধ্যে পাহাড়ে গোর্খাদের বিরুদ্ধে যেসব মামলা হয়েছে তা তুলে নেওয়া হবে।
এদিন বারবার উন্নয়নের কথা বললেও পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবি নিয়ে স্পষ্ট করে কিছুই বলেননি অমিত শাহ। গোর্খাল্যান্ডের বিষয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করতে চাইছেন না বিজেপি নেতারা। তাতে ফল হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই উন্নয়নের স্বপ্ন ফেরি করলেও গোর্খাল্যান্ড নিয়ে মুখ বন্ধই রাখলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলে মনে করা হচ্ছে।