বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা আক্রান্ত হওয়ার পর রাজ্য সফরে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই মাসেই ফের বাংলায় পা রাখতে চলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আগামী ১৯ ও ২০ তারিখ—দু’দিন তাঁর রাজ্য সফরের সম্ভাবনা। ওই দু’দিন তিনি উত্তরবঙ্গ সফর করতে পারেন বলেও খবর।
বিজেপি সূত্রেও খবর, নাড্ডার সফরের পর চলতি মাসেই রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ। ১৯–২০ তারিখ দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেবেন, অংশ নেবেন দলের তিনটি আলাদা কর্মসূচিতে। অমিত শাহ যেতে পারেন জেলা সফরেও। নভেম্বর মাসের গোড়ায় দু’দিনের রাজ্য সফরে এসে দক্ষিণবঙ্গে ছিলেন অমিত শাহ। বাঁকুড়া এবং কলকাতায় সভা করেন, জনসংযোগের জন্য দলিত ও মতুয়া পরিবারে খাওয়াদাওয়া করেছিলেন। তবে শোনা যাচ্ছে, এবার তাঁর নজর উত্তরবঙ্গে। সেখানকার সংগঠন খতিয়ে দেখতে এই মাসের ১৯—২০ তারিখ এই রাজ্যে ফের আসবেন অমিত শাহ। তবে দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলেই খবর। আবার ২০ এবং ২১ ডিসেম্বরও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বঙ্গ সফর হতে পারে।
উল্লেখ্য, একুশেই মেগা ফাইনাল। ফুটছে বাংলা। নেতাদের বাগযুদ্ধ। জনতার প্রত্যাশা। হরেক রঙ্গে ভোটের সাতকাহন চলছেই। রাজনৈতিক উত্তেজনাও তুঙ্গে। গত বুধবার দু’দিনের রাজ্য সফরে আসেন জেপি নাড্ডা। তার যাত্রাপথে কার্যত ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। কখন কালো পতাকা, কখনও কনভয়ে হামলার অভিযোগ ওঠে। নভেম্বর মাসে এসে রাজ্য সংগঠনকে যে টাস্ক দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অর্থাৎ ২৩ দফা কর্মসূচি, তার কতটা কী এগোল, সেসব রিপোর্ট নেবেন তিনি।
তবে কয়েকটি সামাজিক কাজে যোগদান করলেও প্রকাশ্য অমিত শাহ জনসভা করবেন না বলেই এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে। বিজেপি’র পক্ষ থেকে আগেই জানা গিয়েছিল, একুশের নির্বাচনী লড়াইয়ের আগে পালা করে কেন্দ্রীয় নেতারা প্রতি মাসেই এই রাজ্যে আসবেন, নিজেদের সংগঠনকে চাঙ্গা করতে। তাই ডিসেম্বরের ৯–১০ তারিখই ঘুরে গিয়েছেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্র ভবানীপুর এবং অভিষেকের কেন্দ্র ডায়মন্ডহারবারে প্রচার সেরেছেন। ডায়মন্ডহারবার যাওয়ার পথে তাঁর কনভয় হামলার মুখে পড়ে। এই নিয়ে তৃণমূল–বিজেপি দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বঙ্গ রাজনীতির আবহ। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের নিন্দায় ইতিমধ্যেই টুইট করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অমিত শাহ একের পর এক ট্যুইট করে লিখেছেন, ‘আজ বাংলায় বিজেপি’র সভাপতি জেপি নড্ডাজির উপর আক্রমণ খুব নিন্দনীয়। কেন্দ্রীয় সরকার এই ঘটনা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। এই হিংসার জন্য বাংলার সরকারকে রাজ্যের শান্তিকামী মানুষদের জবাব দিতে হবে।’