নতুন বছরে পিছিয়ে গেল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাংলা সফর। জানুয়ারি মাসের ১৯–২০ তারিখ তিনি বঙ্গে আসতে পারেন বলে শোনা গিয়েছিল। কিন্তু তা হচ্ছে না। তাঁর সম্ভাব্য সফরসূচি আগামী ৩০ জানুয়ারি বলে খবর। ৯ জানুয়ারি বীরভূমে আসছেন জেপি নাড্ডা।
ওইদিন মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষদের সঙ্গে সমাবেশে থাকবেন তিনি। মতুয়া মহাসঙ্ঘের প্রধান তথা বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর অনেকদিন ধরেই এই সভার জন্য আর্জি জানাচ্ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে। সেখানে সম্ভবত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে মতুয়াদের আশ্বস্ত করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ফলে নিজেদের নাগরিকত্ব নিশ্চিত করতে তাঁর সভার দিকে এখন তাকিয়ে মতুয়া ও উদ্বাস্তু সম্প্রদায়।
সূত্রের খবর, ৩০ জানুয়ারি শান্তনু ঠাকুরকে সঙ্গে নিয়ে ঠাকুরনগরে সভা করবেন অমিত শাহ। অমিত শাহের এই সফর কিন্তু রাজনৈতিকভাবেও যথেষ্ট তাপর্যপূর্ণ। বিজেপি’র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যে ২০২১ সালের নির্বাচনের আগে মতুয়াদের ভোট ব্যাঙ্ককে প্রাধান্য দিচ্ছে, সেটাই যেন বারবার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত লোকসভা ভোটে মতুয়া অধ্যুষিত বনগাঁ, রানাঘাট থেকে নিজেদের জনপ্রতিনিধি পেয়েছে বিজেপি। বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর তো মতুয়া প্রতিনিধিই। তাঁদের মধ্যে বিজেপি’র জনপ্রিয়তা যে বেশ ভাল তা টের পেয়ে গড় রক্ষা করতে মরিয়া গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্ব। বিধানসভা ভোটেও তারই প্রতিফলন দেখতে চান দিল্লির নেতারা। তিনদিন আগেই শান্তনু ঠাকুরের দাবি মেনে বনগাঁ লোকসভা এলাকাকে আলাদা সাংগঠনিক জেলা বলে ঘোষণা করেছিল বিজেপি শিবির। এতদিন পর্যন্ত বারাসাত জেলার মধ্যেই ধরা হত বনগাঁকে। শান্তনু ঠাকুরের দাবি ও মতুয়া সমস্যা শুনতে আগে রাজ্য বিজেপি’র পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় ঠাকুরনগরে গিয়েছিলেন। তবে এরপরও যেন শান্তনু ঠাকুরের মানভঞ্জন হচ্ছিল না। এবার তা হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
