বিরসা মুণ্ডার গলায় মালা দিয়েই সফর শুরু করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কথা বলেছেন মৃত এক বিজেপি কর্মীর পরিবারের সঙ্গে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় হেলিকপ্টারে কলকাতা থেকে বাঁকুড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি। সেখানে আদিবাসী পরিবারে ডাল–আলুপোস্তোয় মধ্যাহ্ন সারবেন শাহ। এরপর রবীন্দ্র ভবনে বৈঠক করবেন রাঢ়বঙ্গের সাংগঠনিক জেলাগুলির বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে।
তবে কলকাতায় অমিত শাহ আসতেই বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানাতে হাজির হয়েছিলেন মুকুল রায়, রাহুল সিনহা।বিমানবন্দরে হাজির হন পটাশপুরে নিহত মদন ঘড়ুইয়ের পরিবারও। বিমানবন্দরের বাইরে অপেক্ষায় ছিলেন প্রচুর বিজেপি কর্মী সমর্থক। ছিল ব্যান্ড–তাসাও। পুষ্পবৃষ্টি ও ঢাকঢোল বাজিয়ে তাঁকে বরণ করা হয়। এরপরই মৃত বিজেপি কর্মী মদন ঘড়ুইয়ের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন শাহ। পুলিশের বিরুদ্ধে হেনস্তা ও লাগাতার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেন মৃত ওই বিজেপি কর্মীর পরিবার। সব শুনে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বৃহস্পতিবারও ময়নাতদন্ত না হলে তা জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, বিজেপি কর্মী মদন ঘড়ুইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের নির্দেশ বহাল রেখেছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ৫ নভেম্বর দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ডিভিশন বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চেই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। নাবালিকা অপহরণের অভিযোগে আগস্ট মাসে পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে মদন ঘড়ুইকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিজেপি’র দাবি, ১৩ অক্টোবর তার মৃত্যু হয় পুলিশ হেপাজতেই।
শুক্রবার রাত পর্যন্ত বাংলায় থাকবেন অমিত শাহ। এই দু’দিনে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। বাঁকুড়ার রবীন্দ্র ভবনে রাঢ়বঙ্গের সাংগঠনিক জেলাগুলির বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। বিকেলে তাঁর কলকাতা ফেরার কথা। শুক্রবার সকালে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে যাওয়ার কথা শাহের। সেখান থেকে পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর বাড়ি যাবেন তিনি। এরপর তিনি যাবেন বিধাননগরের ইজেডসিসি–তে। সেখানে কলকাতা ও লাগোয়া জেলাগুলির দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন শাহ। শুক্রবার রাতেই কলকাতা ছাড়বেন তিনি।