আন্তর্জাতিক

চীনকে কোণঠাসা করতে আমেরিকার বাজি ভারত

চীনকে চাপে রাখতে আমেরিকার বাজি ভারতই। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকে স্পষ্ট জানান, রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়ার পূর্ণ অধিকার এবং যোগ্যতা রয়েছে ভারতের। ভারতকে এই সদস্যপদ পাওয়ার ক্ষেত্রে আমেরিকা সমর্থন করবে। শুধু তাই নয়, রাষ্ট্রসঙ্ঘে এবার আমেরিকা বিশেষ তদ্বির করবে যাতে নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু হয়। এই প্রক্রিয়া অনেক আগেই হওয়ার কথা ছিল।

মোদী এবং বাইডেনের বৈঠকের পর ভারতের বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রীংলা জানিয়েছেন, সম্প্রতি রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে ভারত যেভাবে সভাপতিত্ব করেছে অস্থায়ী সদস্য হিসেবে, সেটা আমেরিকাকে মুগ্ধ করেছে। বিশেষত আফগানিস্তান ইস্যুতে। সেকথা স্বয়ং জো বাইডেন বৈঠকে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। সেই সময়ই বাইডেন মোদিকে বলেন, ভারতের নিরাপত্তা পরিষদে স্থান পাওয়া অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত দাবি। আমেরিকা মনে করে এই আবেদন অবিলম্বে মঞ্জুর হওয়া উচিত।

রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে মোট সদস্য ১৫টি দেশ। তাদের মধ্যে স্থায়ী সদস্যপদ পাঁচটি দেশের। যাদের বলা হয় পি ফাইভ। আমেরিকা, ফ্রান্স, ব্রিটেন, রাশিয়া, চীন। ভারত–সহ ১০টি দেশ অস্থায়ী সদস্য। নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য দেশগুলির মেয়াদ ২ বছর হয়। ভারত মোট সাতবার নির্বাচিত হয়েছে অস্থায়ী সদস্য হিসেবে। কিন্তু স্থায়ী সদস্য হিসেবে দাবিটি বারংবার আটকে দিয়েছে চীন। নিউক্লিয়ার্স সাপ্লায়ার্স গ্রুপে ভারতের আবেদন গ্রাহ্য হলে পাকিস্তান কী দোষ করল? আর ভারত স্থায়ী সদস্য হয়ে গেলে উপমহাদেশে শক্তির ভারসাম্যে বৈষম্য তৈরি হবে। এটাই চীনের যুক্তি। যা বারংবার আমেরিকা, ফ্রান্স, ব্রিটেনের মতো দেশগুলি মেনে নিতে নারাজ। তারা ভারতের স্থায়ী সদস্যপদে রাজি।

দক্ষিণ চীন সাগরে বেজিংয়ের আগ্রাসন এবং আফগানিস্তানকে ভরকেন্দ্র করে আবার আল কায়েদার বেড়ে ওঠার দ্বৈত আতঙ্ক গ্রাস করেছে আমেরিকাকে। ঠিক এই কারণে ভারত বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সুতরাং আবার ভারত নিউক্লিয়ার্স সাপ্লায়ার্স গ্রুপ এবং নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়ার দাবি নিয়ে সরব হতে চলেছে।