সভ্য সমাজ বা রাষ্ট্র কি প্রাণদণ্ড দিতে পারে? চর্চা, তর্ক-বিতর্ক বহুদিনের। নতুন নয় মার্কিন সমাজেও। এই পরিস্থিতিতে তাৎপর্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত এল আমেরিকার বিচার বিভাগ। মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড ঘোষণা করলেন, প্রাণদণ্ডের নীতি ও প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখছে বিচার বিভাগ। তাই যুক্তরাষ্ট্রীয় স্তরে সব প্রাণদণ্ডের উপর সাময়িকভাবে স্থগিতাদেশ জারি করা হচ্ছে। ঘটনাচক্রে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকাকালীন তাঁর প্রশাসন শেষ ছয় মাসে ১৩ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছিল। এত অল্প সময়ে এতজনের চরম শাস্তি আমেরিকার ইতিহাসে বিরল ঘটনা। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে জো বাইডেন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় এলে তাঁর প্রশাসন মানবতার পথে হাঁটবে।
অ্যাটর্নি জেনারেল গারল্যান্ড বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রীয় ফৌজদারি বিচারব্যবস্থায় মার্কিন আইন ও সংবিধান মোতাবেক প্রত্যেকের অধিকারই সুনিশ্চিত করতে হবে বিচার বিভাগকে। তবে তা করতে হবে স্বচ্ছতা ও মানবতার পথে। প্রাণদণ্ডের ক্ষেত্রে এই দায়িত্ব বিশেষভাবে প্রযোজ্য।’
উল্লেখ্য, ১৭ বছর বন্ধ থাকার পর প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসন গত বছর জুলাই মাসে ফের প্রাণদণ্ড কার্যকর করতে শুরু করে। ১২০ বছরেরও বেশি সময়ে আর অন্য কোনও প্রেসিডেন্টের আমলে মাত্র ছয় মাসের ব্যবধানে ১৩ জনের প্রাণদণ্ড দেখেনি আমেরিকা। সর্বশেষ প্রাণদণ্ডটি কার্যকর হয় ট্রাম্প ক্ষমতা থেকে সরার মাত্র দিন কয়েক আগে।