আন্তর্জাতিক

দক্ষিণ–চিন সাগরে মার্কিন নৌবহর

দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে ফের চরমে চিন–আমেরিকা দ্বন্দ্ব৷ বেজিংয়ের কড়া পাহাড়া থাকা সত্ত্বেও বিতর্কিত জলরাশিতে সামরিক মহড়া চালাল মার্কিন নৌবহর। আর তাতেই জলঘোলা হতে শুরু করেছে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলের। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, বেজিংকে কী এবার উচিত শিক্ষা দেবে আমেরিকা?‌

সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, দক্ষিণ চিন সাগরে প্রবেশ করেছে আণবিক শক্তিসম্পন্ন বিমানবাহী মার্কিন যুদ্ধজাহাজ। সেটির সঙ্গে রয়েছে, গাইডেড মিসাইল ক্রুইজার এবং গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার। এই রণতরীগুলিতে রয়েছে টোমাহক ক্রুজ মিসাইল–সহ আরও অন্যান্য ক্ষেপণাস্ত্র। এদের মূল কাজ হচ্ছে, যুদ্ধবিমানবাহী রণতরীর সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
এক বিবৃতিতে মার্কিন ফৌজ জানিয়েছে, দক্ষিণ চিন সাগরে মহড়া চালাচ্ছে মার্কিন নৌবহর। একটি বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজের সঙ্গে থাকে সাবমেরিন, ফ্রিগেট, ডেস্ট্রয়ারের মতো বেশ কয়েকটি রণতরী। এগুলিকে মিলিয়ে বলা হয় ‘ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ’। যেহেতু মার্কিন রণতরীগুলি আণবিক শক্তি চালিত তাই তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য সাগরে থাকতে সক্ষম।

দক্ষিণ চিন সাগরে সামরিক পরিকাঠামো গড়ে তুলছে বেজিং। প্রায় গোটা জলরাশিটাই নিজেদের বলে দাবি করে কমিউনিস্ট দেশটি। পালটা, সেখানে আণবিক শক্তি চালিত যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী পাঠিয়ে শক্তিপ্রদর্শন করছে আমেরিকা। সদ্য সমাপ্ত জি–৭ বৈঠকের মঞ্চেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মুখে শোনা গিয়েছে সংঘাতের সুর।