বাংলাদেশ

এবার বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াল আমেরিকা

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী রাশেদ চৌধুরিকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেবে আমেরিকা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এমন আশ্বাসই দিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এসপার। তিনি নিজে ফোন করেছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে। তাঁদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে অনেকক্ষণ কথা হয়।
দু’‌পক্ষের আলোচনায় রাশেদ চৌধুরির প্রত্যর্পণের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব। বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর প্রাক্তন অফিসার রাশেদ চৌধুরি মুজিব হত্যার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন। বিএনপি বা খালেদা জিয়ার আমলে রীতিমতো সরকারি অতিথি হয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে বিভিন্ন দেশে কর্মরত ছিলেন তিনি। কিন্তু ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রীর গদি দখল করেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা। তারপরই জাতির জনকের হত্যাকারীদের বিচার শুরু করার নির্দেশ দেন তিনি। তখন ব্রাজিলে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন রাশেদ চৌধুরি। তাঁকে দেশে ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু পরিস্থিতির জটিল আঁচ করতে পেরে আমেরিকায় পালিয়ে যান রাশেদ।
জানা গিয়েছে, প্রায় ১০ বছর কাটানোর পর তাঁকে শরণার্থীর মর্যাদা দেয় এক মার্কিন আদালত। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করার চেষ্টায় রাশেদকে ঢাকার হতে তুলে দিয়ে চাইছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফলে আর বেশি দিন বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী আইনের হাত থেকে পালাতে পারবেন না বলেই মনে করা হচ্ছে।
ঢাকা ও ওয়াশিংটনের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন তিনি। প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা সম্প্রসারণে উচ্চপর্যায়ে আলোচনা অব্যাহত রাখার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব একমত হন। করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সময় যুক্তরাস্ট্রকে সহযোগিতা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।