আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘‌মুনাফার জন্য হিংসা ছড়ায় ফেসবুক’‌

দেশের বিরোধী সাংসদরা আগেই অভিযোগ তুলেছিলেন। স্বয়ং তৃণমূলের সাংসদ ডেরেক ও’‌ব্রায়েন চিঠি লিখে ফেসবুক–কে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীরও একই অভিযোগ ছিল। এবার সামনে এল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। মুনাফা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে বিদ্বেষ ছড়াতেও পিছপা হচ্ছে না ফেসবুক। এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে সংস্থা থেকে পদত্যাগ করলেন ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ার অশোক চান্দওয়ানে।
এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছে ফেসবুক। আর অক্সিজেন পেয়েছেন দেশের বিরোধী সাংসদরা। আর অশোক চান্দওয়ানে ফেসবুক–কে ১৩০০ শব্দের ইস্তফাপত্র লিখে পোস্ট করেছেন। কেন তিনি ফেসবুকের চাকরি ছাড়ছেন?‌ সেটা স্পষ্ট করেছেন সেখানে। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার অশোক চান্দওয়ানে ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন, বিশ্বজুড়ে হিংসা আর ঘৃণার কারবার করছে ফেসবুক। এটাই এখন তাদের মূল ব্যবসা হয়েছে। এই জঘন্য কাজ করা একটি সংস্থার সঙ্গে তিনি আর জড়িত থাকতে চান না। তাই চাকরি থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন তিনি। এমনকী প্রমাণ হিসাবে কিছু লিংক পোস্ট করেছেন তিনি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত ওই ইঞ্জিনিয়ারের অভিযোগে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে ফেসবুকের দাবি, ‘‌আমরা বিদ্বেষ ছড়িয়ে মুনাফা করি না। বরং তা এড়াতে আমরা সমস্ত সতর্কমূলক পদক্ষেপ করছি।’‌ গোটা বিশ্বকে এক সূত্রে বাঁধতেই ফেসবুক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছিলেন মার্ক জুকারবার্গ। এটা তাঁরই দাবি। কিন্তু তাঁর এই সংস্থার বিরুদ্ধে এখন হিংসা ছড়ানোর একের পর এক অভিযোগ জমা হচ্ছে। সুতরাং চরম ব্যাকফুটে ফেসবুক।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেনোশার অশান্তির কথা উল্লেখ করেছেন অশোক তাঁর ইস্তফাপত্রে। তাঁর বক্তব্য, কেনোশায় একদল উগ্রপন্থী বন্দুক নিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর উসকানি দিলেও সেই পোস্টগুলি সরায়নি ফেবসুক। এমনকী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের—লুঠপাট শুরু হলেই, গুলি চালানো শুরু হবে, এই মন্তব্যের কথাও পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করেছেন অশোক। তিনি জানান, আমি এমন সংস্থার হয়ে আর কাজ করতে পারব না, যাঁরা মার্কিব যুক্তরাষ্ট্র–সহ গোটা বিশ্বে বিদ্বেষ ছড়িয়ে মুনাফা করে। এসবের জবাব অবশ্য ফেসবুক দেয়নি।
ফেসবুকের মুখপাত্র লিজ বুর্গোইস অবশ্য ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে বলেছেন, প্রতিটি সম্প্রদায় যাতে নিরাপদ ও সুরক্ষিত থাকে তার জন্য ফেসবুক প্রতি বছর বিলিয়ন ডলার খরচ করে। আমরা এমন একটি পলিসি এনেছি যাতে ফেসবুকে ঘুণা ও হিংসা ছড়ানোর মতো কোনও পোস্ট পড়লেই সেটি চিহ্নিত করা যায়! আমাদের বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ ভিত্তিহীন।