রানাঘাটের সভা থেকে ফের কেন্দ্রকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর বললেন, ‘নতুন করে সোনার বাংলা তৈরির কিছু নেই, বাংলায় সব কাজ হয়ে গিয়েছে। এখন বিশ্ববাংলা হচ্ছে।’ নাগরিকত্ব আইন নিয়েও ক্ষোভ উগরে দিলেন বিজেপি’র বিরুদ্ধে। চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বললেন, বাংলায় এনআরসি হতে দেবেন না।
সোমবার জনসভা থেকে তিনি বলেন, ‘মতুয়ারা সবাই নাগরিক। আমি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বলছি, মতুয়া ভাই–বোনেরা সবাই নাগরিক। কোনও এনআরসি বাংলায় হবে না।’ তৃণমূল নেতাদের দলবদল ও পরবর্তীতে শাসকদলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, ‘বিজেপি সানলাইট, ওয়াশিং মেশিন। ওদের দলে দুর্নীতিই নেই! ওই দলে গেলেই সবাই স্বচ্ছ। ভোট কাছে এসেছে তাই ওরা বলছে চাকরি দেব, বাড়ি বাড়ি গিয়ে টাকা দেব। ভোট মিটে যেতেই ডুগডুগি বাজিয়ে পালাবে। কাউকে কিছুই দেবে না।’
রানাঘাটের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী এদিন তোপ দাগেন, মতুয়াদের বিজেপি ভুল বোঝাচ্ছে। নাগরিকত্বের লোভ দেখিয়ে বিদেশি বানানোর চক্রান্ত করছে বিজেপি। মতুয়ারা কত সাল থেকে বাংলায় আছেন? কেউ ৫০, কেউ ৫২, কেউ ৭০ সাল থেকে। কেউ কেউ তারও আগে দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে থেকে। তারা তো এমনিই নাগরিক। তুমি আবার কী নাগরিকত্বের মোয়া খাওয়াবে? ওদের কথা শুনে একবার অ্যাপ্লাই করবে, তারপর বিদেশি হয়ে যাবে! মতুয়া ভাই–বোনেরা সবাই নাগরিক। নমঃশূদ্র ভাইবোনেরা সবাই নাগরিক। কে কার নাগরিকত্ব কাড়তে পারে? এত সহজ?
কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, রূপশ্রী, সবুজসাথী, স্বাস্থ্যসাথী–সহ রাজ্যের সমস্ত প্রকল্পের কথা আরও একবার সকলকে মনে করিয়ে দেন তিনি। এদিনের সভায় রাজ্য সরকারের তরফে মতুয়া সম্প্রদায়ের জন্য বোর্ড তৈরি করে ১০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে জানান, নমঃশূদ্র, রাজবংশী, কামতাপুরীদের জনও বোর্ড তৈরি করা হয়েছে। সাঁওতালিভাষী, হিন্দিভাষীদের পাশেও সরকার আছে। উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা ভোটে বড় ফ্যাক্টর হচ্ছে মতুয়া ভোট। মতুয়া মন জয়ে মরিয়া তাই দু’পক্ষই। আর সেই মতুয়া মন পেতে সবচেয়ে বড় ইস্যু হচ্ছে নাগরিকত্ব। মতুয়াদের মন জয়ে, ৩০ জানুয়ারি ঠাকুরনগরে সভা করতে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
