বাংলায় প্রথম দফার ভোট শুরু হচ্ছে ২৭ মার্চ। আর তিনটি বিতর্কিত কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে আবার একবার ভারত বন্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে কৃষক সংগঠনগুলির মিলিত মঞ্চ সংযুক্ত কিষান মোর্চা। আগামী ২৬ মার্চ ভারত বন্ধ পালন করবে তারা। অর্থাৎ বিধানসভা নির্বাচনের আগের দিনই দেশজুড়ে বন্ধের চেহারা দেখা যাবে। কেন্দ্রীয় সরকারের অনমনীয় মনোভাবের জন্যই এই বনধ বলে দাবি করছেন কৃষক সংগঠনের নেতারা।
কৃষি আইনের বিরুদ্ধে দিল্লি সীমানায় কৃষকদের লাগাতার অবস্থান–বিক্ষোভ চলছে। দেশব্যাপী বন্ধে ১২ ঘণ্টা ধরে দোকানপাট, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার দাবি করেছে সংগঠন। এই কর্মসূচির দু’দিনের মাথায় আগামী ২৮ মার্চ ‘হোলিকা দহন’–এর দিন বিতর্কিত তিন কৃষি আইনের প্রতিলিপি পোড়াবেন বিক্ষোভকারীরা। বাংলার নন্দীগ্রামে এসে বিজেপিকে ভোট না দেওয়ার আহ্বান করে গিয়েছেন কৃষক সংগঠনের নেতারা।
গঙ্গাসাগর কিষান সমিতির পক্ষ থেকে এদিন রঞ্জিত রাজু সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, ২৬ মার্চ সকাল ৬টা থেকে চলবে ভারত বন্ধ। দোকানপাট–সহ সমস্ত কিছুই বন্ধ থাকবে। তিনি বলেন, ‘আমরা হোলির সময় তিনটি আইনের প্রতিলিপি জ্বালিয়ে দেব এবং আশা করব যে সরকারের বোধদয় হবে। তারা যেন এই আইনগুলি বাতিল করে দেয়।’ সারা ভারত কিষান সভার নেতা কৃষ্ণ প্রসাদ জানান, ১১২ দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে তাঁরা নিজেদের প্রতি বিশ্বাস অর্জন করেছেন। দেশের প্রতিটা রাজ্য, জেলা এবং গ্রামস্তরে এই ভারত বন্ধ পালিত হবে।
উল্লেখ্য, কৃষি আইন নিয়ে জটিলতা কাটাতে আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে ১১ দফায় বৈঠকে বসে সরকার। কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র তোমর বিদ্যুৎ বিলের বিষয়ে তাঁদের দাবি মেনে নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রসাদ। এর আগে কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে ৮ ডিসেম্বর ভারত বন্ধের ডাক দিয়েছিলেন কৃষকরা। তাঁদের সমর্থন জানিয়েছিল ১০টি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন। ভারত বন্ধের দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশ সফরে যাবেন।
