জেলা

নন্দীগ্রামে এগিয়ে–পিছিয়ে শুভেন্দু–মমতা

২৯১টি কেন্দ্রের মধ্যে সবার নজর পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম। ভোটের আগে থেকেই যখন মেরুকরণ হয়ে গিয়েছিলই, তখন নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের দিনে যে সেই কেন্দ্রের দিকে রাজ্যের মানুষের বিশেষ নজর থাকবেই, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ফলে নন্দীগ্রামে উত্তেজনায় ফুটছে গোটা রাজ্য। কারণ, এই কেন্দ্র থেকেই তৃণমূলের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির হয়ে লড়েছেন দলবদলু পদ্ম শিবিরে নাম লেখানো মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র শুভেন্দু অধিকারি এবং মোর্চার হয়ে লড়ছেন বামেদের লড়াকু যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ও।
এখন পর্যন্ত তিন হাজার ভোটে এগিয়ে আছে শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু প্রথমে এগিয়ে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল না বিজেপি, কার হাতে থাকবে রাজ্যের ভার? কিছুক্ষণের মধ্যেই মিলবে সব উত্তর। সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে হলদিয়ার গণনাকেন্দ্রে ইতিমধ্যেই ভিড় জমাচ্ছেন তৃণমূল এবং বিজেপি দু’পক্ষের নেতা, কর্মী এবং সমর্থকরা।
নন্দীগ্রাম কেন্দ্রের ভোট গণনা হলদিয়া গভর্নমেন্ট স্পনসর্ড হাইস্কুলে হচ্ছে। নন্দীগ্রাম থেকে সড়ক পথে স্কুলটির দূরত্ব প্রায় ৬৭ কিলোমিটার। নন্দীগ্রাম থেকে দলবল নিয়ে হলদিয়া পৌঁছে গিয়েছেন মমতার নির্বাচনী এজেন্ট সেখ সুফিয়ান। পাশাপাশি, পৌঁছে গিয়েছেন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ প্রলয় পালও।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, পূর্ব মেদিনীপুরের ১৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটগণনার জন্য মোট ৬টি কেন্দ্র রয়েছে। হলদিয়ার গভর্নমেন্ট স্পনসর্ড হাইস্কুলে নন্দীগ্রাম, মহিষাদল এবং হলদিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের গণনা হবে। কেটিপিপি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে হবে পাঁশকুড়া পূর্ব এবং পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের গণনা। বাজকুল মিলনী মহাবিদ্যালয়ে গণনা হবে ভগবানপুর বিধানসভার। আর কন্টাই পিকে কলেজে খেজুরি, কাঁথি উত্তর, কাঁথি দক্ষিণ এবং রামনগর বিধানসভা কেন্দ্রের এবং এগরা ঝাটুলাল হাইস্কুলে এগরা এবং পটাশপুর বিধানসভা কেন্দ্রের গণনা। কোলাঘাটের কেটিপিপি হাই স্কুলে হবে তমলুক, ময়না, নন্দকুমার এবং চণ্ডীপুর কেন্দ্রের গণনা।