আফগানিস্তান দখল হয়ে গিয়েছে। এবার কাশ্মীরকে ‘আজাদ’ করতে হবে। এবার সেই ডাক দিল আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদা। ৩১ আগস্ট ছিল আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনীর ফিরে যাওয়ার ডেডলাইন। সেই সময়সীমা পূর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০ বছর পর পাঠানভূমি ত্যাগ করে আমেরিকা। তারপরই তালিবান উল্লসিত হয়ে ‘স্বাধীনতার যুদ্ধে’ আমেরিকাকে হারানোর কথা ঘোষণা করেছে, বলে বিবৃতি দিয়েছে আল কায়েদা। সেখানে এই আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন সাফ জানিয়েছে, ‘আফগানিস্তানকে পশ্চিমী শক্তির থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পূর্ণ স্বাধীনতার পথে নিয়ে আসার জন্য তালিবানকে অভিনন্দন। এবার লক্ষ্য ইয়েমেন, সোমালিয়া, প্যালেস্টাইন এবং কাশ্মীরের স্বাধীনতা।’
আল কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে পাকিস্তানের অ্যাবটাবাদে নিরাপদে লুকিয়ে রাখার নেপথ্য কারিগরও লস্কর এবং জয়েশ। পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সে কাজ করেছিল তারা। আবার তালিবানের সঙ্গেও দুই জঙ্গি সংগঠনের যোগ রয়েছে। অস্ত্র এবং অন্যান্য নানাভাবে তারা সাহায্য করেছে তালিব যোদ্ধাদের। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা জানতে পারছে, ওই সাক্ষাতের পিছনেও মধ্যস্থতাকারী ছিল আইএসআই। সেই বৈঠকেই স্থির হয়েছে এবারের টার্গেট—কাশ্মীরকে অস্থির করা।
আল কায়েদা বিবৃতিতে আরও বলেছে, ‘আমরা সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ। কারণ তাঁর প্রদান করা শক্তিতেই আমেরিকার মতো ইসলামের শত্রুর মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়া গিয়েছে। দুই শতাব্দীর মধ্যে এই নিয়ে তৃতীয়বার পশ্চিমী আগ্রাসনকারীকে পরাস্ত ও বহিষ্কার করতে সক্ষম হল আফগানিস্তান। আফগানিস্তান চিরকাল এরকমই বিপুল শক্তিধর এক রাষ্ট্র। তালিবানের বিজয় থেকে স্পষ্ট যে, জিহাদের পথই সাফল্যের রাস্তা।’
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দোহায় আমেরিকার সঙ্গে বৈঠকে তালিবানকে বলা হয়েছিল, সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। কিন্তু সম্প্রতি রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ রিপোর্টে স্পষ্ট, তালিব ও আল কায়েদার সম্পর্ক মোটেই ছিন্ন হয়নি। ইরাক ও সিরিয়ায় আইএসের উত্থানের পর আল কায়েদার সঙ্গে তাদের বিরোধ প্রকাশ্যে এসেছিল। সেই ক্ষমতার লড়াইতে তালিবান ছিল আল কায়েদার পক্ষে। বর্তমানে আফগানিস্তানে শাসক তালিবানের সবথেকে বড় প্রতিপক্ষ আইএসকে।