দেশ লিড নিউজ

আল কায়েদার অস্ত্র কুকার বম্ব

পাকিস্তান থেকে সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশ, গা ঢাকা দেওয়া, কিংবা আরডিএক্স জাতীয় ভয়ঙ্কর বিস্ফোরক সাপ্লাই। আর সবই করতে হবে পুলিশ–গোয়েন্দাদের নজর এড়িয়ে। বারবার বানচাল হয়েছে পাকিস্তানি জঙ্গিদের এই অপারেশন। গোপন অভিযান, বা স্রেফ নজরদারি চালিয়েই ধরা পড়েছে একের পর এক সন্ত্রাসবাদী। তাই এবার নতুন ছক। আল কায়েদার নির্দেশে লস্কর ও জয়েশের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলি নিজেদের পরিকল্পনা সম্পূর্ণ বদলে ফেলেছে।

এতদিন স্থানীয় মানুষকে ব্যবহার করা হয়েছে স্লিপার সেল হিসেবে। আর তার সূত্রকে কাজে লাগিয়ে আঘাত হেনেছে বহিরাগত জঙ্গিরা। এবার আল কায়েদার প্ল্যান—কম আর্থিক লগ্নি, কম ঝুঁকি এবং বৃহত্তম ক্ষতি। তাই স্থানীয় যুবকদের সন্ত্রাসে উৎসাহিত করে ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে নির্দেশিকা পাঠানো হচ্ছে। উদ্দেশ্য অকৃত্রিম—ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে বিস্ফোরণ, জঙ্গি হামলা। এই লক্ষ্যে গজিয়ে ওঠা তাদের নতুন ভারতীয় শাখার নাম আনসার গাজওয়ার উল হিন্দ। এই মডিউলকে বহুদিন আগে ইয়াসিন ভাটকলের ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের ধাঁচে ব্যবহারের ছক রয়েছে। অর্থাৎ, কম খরচে বোমা নির্মাণ এবং বিস্ফোরণ। ৩ থেকে ৫ হাজার টাকার মধ্যেই প্রেশার কুকার বোমা তৈরি করার প্রশিক্ষণ চলছে।

সম্প্রতি লখনউ এবং আমেদাবাদ থেকে পৃথক অভিযানে আল কায়েদা জঙ্গি সন্দেহে পাঁচ যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জেরা করে উত্তরপ্রদেশের অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড জানতে পেরেছে নয়া প্ল্যান। আল কায়েদা একে বলছে, ‘লো ইনভেস্টমেন্ট হাই ইমপ্যাক্ট’। এই মুহূর্তে আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তের কোনও এক স্থানে লুকিয়ে থাকা আল কায়েদার জঙ্গি উমর হালমান্দি এবং আব্বাস উসমানি চালাচ্ছে আনসার গাজওয়ার উল হিন্দকে। তাদের মাধ্যমেই হচ্ছে ‘নিয়োগ’।

আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের প্রায় প্রতিটি সীমান্তেই তালিবানের দাপট ও দখলদারি। আল কায়েদার এই গোষ্ঠীর সঙ্গে আবার তাদের চরম বিরোধ। আপাতত তালিবানের ভয়েই জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তাই অস্তিত্ব জাহির এই মুহূর্তে তাদের জন্য আবশ্যিক। লখনউ ও আমেদাবাদে ধৃতদের জেরা করে পুলিশের আশঙ্কা, স্বাধীনতা দিবসের আগে দেশের কোনও শহরে বিস্ফোরণের প্ল্যান করেছে আল কায়েদা।