এবার কৃষি আইনের প্রতিবাদ করে লখনউয়ে ধরনায় বসতেই গ্রেপ্তার করা হল উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবকে। এমনকী কনৌজ জেলায় তাঁর পূর্ব নির্ধারিত প্রতিবাদ মিছিল রুখতে রাস্তাও সিল করে দেয় পুলিশ। সোমবার সকাল থেকেই উত্তরপ্রদেশ পুলিশ সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশের প্রতিবাদকে রুখে দেওয়ার জন্য বিশেষ সক্রিয় থেকেছে। তারা ব্যবস্থা নিয়েছেন যাতে প্রত্যাশিত মাত্রায় আন্দোলন না করতে পারেন অখিলেশ ও তাঁর দলবল।
কৃষক বিক্ষোভের পাশে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগছে সমস্ত বিরোধী দল। ৮ ডিসেম্বরের বনধকেও ইতিমধ্যেই স্বাগত জানিয়েছেন বিরোধীরা। কৃষকদের সমর্থনে নিজের রাজ্যেই ১৩ কিলোমিটার পথ ‘কিষাণ যাত্রা’ প্রতিবাদ মিছিল করার কথা ছিল অখিলেশের। হেঁটে, সাইকেলে, ট্রাক্টরে— যেভাবে হোক, মিছিলে শামিল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, নির্ধারিত কর্মসূচিতে যাওয়ার আগেই আজ সকালে প্রথমে অখিলেশের বাড়ি ঘিরে নেয় লখনৌ পুলিশ। বাড়ি থেকে একটু দূরে তিনি কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন। সেখানে তাঁকে নজরবন্দি করে রাখা হয়। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদিন দুপুরে পুলিশ ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যান। কিন্তু মিছিল শুরুর আগেই পুলিশের পক্ষ থেকে ক্রমাগত বাধা দেওয়ায় নিজের বাড়ির কাছেই বিক্রমাদিত্য মার্গে রাস্তার উপর বসে পড়েন সকলে। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলে প্রতিবাদ জানান সমাজবাদী পার্টির নেতা–কর্মীরা। এরপরই অখিলেশকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে তুলে একটি বাসে চাপিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।
সূত্রের খবর, এই ঘটনার পর সারা রাজ্য জুড়ে কৃষকরা প্রতিবাদে সামিল হবেন। উত্তরপ্রদেশের প্রতিটি জেলা থেকে কৃষকরা আসবেন ও আন্দোলনে যোগ দেবেন। অখিলেশ–কাণ্ড নিয়ে দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে। কনৌজের জেলাশাসক রাকেশ মিশ্র বলেন, ‘আমরা আগেই অনুরোধ জানিয়েছিলাম, করোনা আবহে এই ধরনের মিছিল না করার। অনেক মানুষ এক জায়গায় একত্রিত হলে, আখেরে কারও লাভ হবে না।’