অকাল’ বসন্তোৎসব উৎযাপিত হবে বিশ্বভারতীতে৷ ৩ মার্চ ‘বসন্ত বন্দনা’-র অনুষ্ঠান সূচি প্রকাশ করল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। অর্থাৎ, ৩ মার্চ শান্তিনিকেতনে হবে বসন্তোৎসব। পড়ুয়া, অধ্যাপক- অধ্যাপিকা, কর্মীরাই শুধুমাত্র প্রবেশ করতে পারবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু পর্যটক বা আশ্রমিক প্রবেশ নিয়ে জল্পনা আছে।
উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সময়কালে ২০১৯ সালে শেষবার বিশ্বভারতীতে সর্বজনীন বসন্তোৎসব হয়েছিল। ২০২০ সালে কোভিড পরিস্থিতির জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বসন্তোৎসব৷ তারপর থেকে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে শুরু হয় সংঘাত। পড়ুয়া, আশ্রমিক, প্রাক্তনী, কর্মী, অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের একাংশের সঙ্গেও দূরত্ব বাড়ে উপাচার্যের। ফলে পৌষমেলার পাশাপাশি বন্ধ হয়ে যায় বসন্তোৎসবও৷ ২০২১ ও ২২ সালে উপাচার্য নিজেদের মধ্যেই এই উৎসব উদযাপন করেছিলেন। এবারও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের জমি বিতর্ককে কেন্দ্র করে উপাচার্যের বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় উঠেছে সর্বত্র৷
এই পরিস্থিতিতে ৭ মার্চ দোলের দিন বসন্তোৎসব করছে না বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তার পরিবর্তে অকাল বসন্তোৎসব ঘোষণা করল বিশ্বভারতীর কর্মিপরিষদ৷ ইতিমধ্যেই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়, ২ মার্চ সন্ধ্যায় লোক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ৩ মার্চ সকালে বৈতালিক আর ৭ টায় শোভাযাত্রা৷ অর্থাৎ, অকাল বসন্তোৎসব ঘোষণা করল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। যা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সময় থেকে দোলের দিন শান্তিনিকেতনে বসন্তোৎসব হয়ে আসছে। সেই প্রথা কার্যত উপেক্ষা করে অকাল বসন্তোৎসব ঘোষণা বিশ্বভারতীর।