প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কোভিড রিভিউ বৈঠকে বলেছেন, ভ্যাকসিনই একমাত্র পথ। তাই ভ্যাকসিন দেওয়ার হার কোনওভাবেই কমানো যাবে না। এমনকী লকডাউন থাকলেও ভ্যাকসিন দেওয়া যেন থমকে না যায়। তারপরই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি কেন্দ্রীয় সরকার দেশজুড়ে লকডাউনের কথা ভাবছে? নীতি আয়োগের এক সদস্য জানিয়েছিলেন, লকডাউন নিয়েও আলোচনা হচ্ছে।
সরকারি আধিকারিকরা পর্যালোচনা বৈঠকে জানালেন, রাজ্যগুলিকে ইতিমধ্যেই সাড়ে ১৭ কোটি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। রেমডিসিভির–সহ বিভিন্ন ওষুধের উৎপাদন ও আমদানিতে সরকার উদ্যোগী হয়েছে। সরকারি বিবৃতিতে এই বৈঠকের বিবরণ জানানো হলেও, রাজ্যে রাজ্যে অক্সিজেন, ভ্যাকসিন, ওষুধের সঙ্কট নিয়ে কোনও মন্তব্যই করা হয়নি। বরং প্রধানমন্ত্রীকে বলা হয়েছে, ইতিমধ্যেই ৪৫ বছরের বেশি নাগরিকদের ৩১ শতাংশ অন্তত প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন নিয়েছেন।
করোনা নিয়ে রাজ্যগুলি যেন সেইসব জেলাকে চিহ্নিত করে যেখানে করোনা পজিটিভ হওয়ার হার ১০ শতাংশের বেশি অথবা ৬০ শতাংশের বেশি হাসপাতালের বেডে রোগী ভর্তি আছে। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ওষুধের জোগান ঠিক কোন অবস্থায় রয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, স্বাস্থ্যকর্মীরা ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজে যুক্ত। তাঁদের কোনওভাবেই অন্য ডিউটিতে পাঠানো যাবে না।
