বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা সময়ের অপেক্ষা মাত্র। এই মুহূর্তে চরম ব্যস্ততা তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। অল্প সময়ের মধ্যে রাজ্যের সর্বত্র তাঁকে ছুঁয়ে যেতে হবে। বিরোধীদের বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি দলকে আরও মজবুত করাই তাঁর লক্ষ্য। তাই ৪ ফেব্রুয়ারি উত্তরবঙ্গ সফর শেষ করেই রাজ্যের আরও তিন জেলা সফরে যাচ্ছেন তিনি।
তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি বর্ধমানের কালনায় সভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই দিনই বর্ধমানের অন্য একটি অনুষ্ঠানে মাটি উৎসবের সূচনা করবেন তিনি। পরদিন চলে যাবেন মুর্শিদাবাদ। সেখানেও জনসভা রয়েছে তাঁর। ১১ ফেব্রুয়ারি মালদহে একটি সভায় বক্তব্য রাখবেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে খারাপ ফল করে তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানের ৮টি আসনের প্রত্যেকটিই শাসকদলের হাতছাড়া হয়। তাই উত্তরবঙ্গে নির্বাচনী প্রচারে জোর দিয়েছেন মমতা। কিছুদিন আগে উত্তরবঙ্গে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। উত্তরবঙ্গের কাছেই মুর্শিদাবাদ ও মালদা— এই দুটি জেলা ছাড়া বর্ধমানেও বেড়েছে বিজেপি’র ভোট। তাই ভোটের মুখে তৃণমূল নেতা–কর্মীদের চাঙ্গা করতে বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ ও মালদায় যাচ্ছেন মমতা।
শুভেন্দু অধিকারি দল ছাড়ার পরই তাঁর গড় নন্দীগ্রামে বিশাল সভা করেন মমতা। এছাড়াও বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম এবং পুরুলিয়াতেও তাঁর সভা হয়েছে। জঙ্গলমহলে জমি শক্ত করার চেষ্টায় চালিয়ে যাচ্ছেন তৃণমূলনেত্রী। আইনের প্যাঁচে আটকে না গেলে আগামী ৬ তারিখ নবদ্বীপ থেকে রথযাত্রার সূচনা করবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। পরে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্য্ন্ত একের পর এক রথযাত্রা শুরু হবে। তার মধ্যেই তিন জেলায় যাবেন মমতা।
বুধবারই আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে মমতা বলেছেন, ‘নির্বাচনের তারিখ সাত–আটদিনের মধ্যে ঘোষণা হয়ে যেতে পারে। তাই হাতে আর আমাদের বেশি সময় নেই।’ সেই মতো বুধবার তৃণমূল সুপ্রিমোও দলীয় কর্মীদের কাজে নেমে পড়তে নির্দেশ দেন।