বাংলাদেশ

আবার কড়া লকডাউনে বাংলাদেশ

বেড়েই চলেছে করোনাভাইরাসের থাবা। সংক্রমণ নামিয়ে আনতে ১ জুলাই থেকে ১৪ দিনের কঠোর লকডাউনে যায় বাংলাদেশ। কিন্তু ঈদের কারণে ১৫ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত তা শিথিল করা হয়। শুক্রবার ফের ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধে যাচ্ছে। এই সময়ে অফিস, আদালত, পোশাক কারখানা–সহ সবই বন্ধ থাকবে।

ঈদের ছুটিতে সাড়ে ১১ হাজার নমুনা পরীক্ষায় ৩ হাজার ৬৯৭ জন করোনা শনাক্ত হয়েছে। ঈদের দিন মৃত্যু হয়েছে ১৮৭ জনের, যা আগের দিনের চেয়ে বেশি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে খবর, নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩২.‌১৯ শতাংশে পৌঁছেছে। করোনা শনাক্ত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৪০ হাজার ২০০ জনে। মৃত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৬৮৫ জনে। এই পরিস্থিতিতে কঠোর বিধিনিষেধের কোন বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

বাংলাদেশের জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, শুক্রবার থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হচ্ছে। পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা মাঠে থাকবেন। তার কথায়, এবারের বিধিনিষেধ আগের চেয়ে কঠোর হবে। অফিস আদালত সবকিছু বন্ধ থাকবে। এবারে বিধিনিষেধ চলাকালীন মানুষের বাইরে বেরুনোর প্রয়োজন হবে না।

করোনার সংক্রমণ কমানোর প্রয়োজনে অবশ্যই বিধিনিষেধ মানতে হবে। সবাইকে ঘরে থাকতে হবে। প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হবেন না। জরুরি প্রয়োজনে কেউ যদি বাইরে বেরুতে হয় তাহলে দুটো মাস্ক পরতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। নিময়টি ১৪ দিন পালন করা সম্ভব হয়, তাহলে সংক্রমণ কমবে। না হলে বাড়তে থাকবে। বর্তমানে হাসপাতালে রোগীর খুব চাপ রয়েছে।