রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু প্রটোকল তো মানতে হবেই। তাই ফের একমঞ্চে আসতে চলেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী ও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। কারণ বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠা শতবর্ষে শান্তিনিকেতন আসার জন্য আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানাল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বিশ্বভারতীর কর্মী পরিষদের পক্ষ থেকে এই কথা জানিয়েছেন কিশোর ভট্টাচার্য। আগামী ৮ পৌষ আম্রকুঞ্জে প্রতিষ্ঠা দিবসে প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও রাজ্যপাল, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী–সহ বিশিষ্টরা উপস্থিত থাকতে পারেন বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সূত্রে খবর।
জানা গিয়েছে, আসন্ন পৌষ উৎসব নিয়ে বুধবার বিশ্বভারতীতে কর্মী পরিষদের একটি বৈঠক ছিল। বৈঠকে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী, কর্মী মণ্ডলী, শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট, আলাপিনী সমিতি–সহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। করোনা পরিস্থিতিতে কীভাবে এই উৎসব পরিচালনা করা হবে তা নিয়ে এই বৈঠকে আলোচনা হয়। সেখানেই ঠিক হয়েছে, আগামী ৮ পৌষ আম্রকুঞ্জে প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করা হবে। শতবর্ষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য বিশ্বভারতীর আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। ২৪ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠা দিবস অনুষ্ঠান শুরু হবে ভোরে বৈতালিক দিয়ে। যদি তাঁরা এই উৎসবে আসতে না পারেন তাহলে তা হবে ভার্চুয়ালি বলে খবর।
এদিকে বাংলায় আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। কারণ বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন বাংলায়। সেখানে বাঙালি সেন্টিমেন্ট ধরতে এখানে যোগ দিতে পারেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। ইতিমধ্যেই তাঁকে দেখা গিয়েছে, উজবেকিস্তান–ভারত সামিটের ব্যাকড্রপে লাগানো হয়েছিল দক্ষিণেশ্বরের ছবি। সেটাও করা হয়েছিল বাঙালি সেন্টিমেন্টকে ধরার জন্য।
অন্যদিকে বৈঠকে ঠিক হয়েছে, এবার পৌষ মেলা আয়োজন করা হবে না। কিন্তু পৌষ উৎসব হবে। ৭–৯ পৌষ উপাসনা, পরলোকগত আশ্রমিকদের স্মরণ, মহর্ষি স্মারক বক্তৃতা, প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন, সমাবর্তন এবং খ্রিষ্টোৎসব পালিত হবে। শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের পক্ষে অনিল কোনার জানান, বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠা দিবসে প্রধানমন্ত্রীকে শান্তিনিকেতনে আসার জন্য বিশ্বভারতী আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আসতে না পারলে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকবেন। কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী এবং রাজ্যপাল উপস্থিত থাকবেন এই অনুষ্ঠানে। করোনা পরিস্থিতি পৌষ মেলা হচ্ছে না।’
