দেশে রোজ পেট্রোল–ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি কার্যত রুটিনে পরিণত হয়েছে। আর সেই রুটিন মেনেই শনিবারও ফের বাড়ল জ্বালানির দাম। গত ৪ মে’র পর থেকে এই নিয়ে ২৪ বার ঊর্ধ্বমুখী মূল্য। আর তাতেই লিটারপিছু ৯৬ টাকার গণ্ডি পেরল কলকাতায় পেট্রোলের মূল্য। এই মূল্যবৃদ্ধির শেষ কোথায় তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
শনিবার শহরবাসীকে এক লিটার পেট্রোল কেনার জন্য খরচ করতে হবে ৯৬.০৬ টাকা। লিটারপিছু ২৬ পয়সা বাড়ল দাম। ২৩ পয়সা মূল্যবৃদ্ধি হয়ে এদিন ডিজেলের দাম গিয়ে দাঁড়াল ৮৯.৮৩ টাকায়। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা এবং লাদাখে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে পেট্রোলের মূল্য। আর গত ২৯ মে প্রথম মহানগর হিসেবে মুম্বইয়ে ১০০ টাকা ছাড়িয়েছিল প্রতি–লিটার পেট্রোলের দাম। যা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। মুম্বইতে প্রতিলিটার পেট্রোল ১০২.৩০ টাকায় এবং ডিজেল মিলছে ৯৪.৩৯ টাকায়। রাজধানী দিল্লিতেও একলাফে অনেকটা বাড়ল জ্বালানির মূল্য। সেখানে লিটারপিছু পেট্রোল ও ডিজেলের দাম যথাক্রমে ৯৬.১২ টাকা এবং ৮৬.৯৮ টাকা। চেন্নাইয়ে এক লিটার পেট্রোল ও ডিজেলের জন্য খরচ ৯৭.৪৩ এবং ৯১.৬৪ টাকা।
জ্বালানির দাম বাড়ছে হু হু করে। অথচ, সরকার নির্বিকার। প্রশ্ন উঠছে, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের অজুহাতে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব কি ভুলে গিয়েছে সরকার? উল্লেখ্য, জ্বালানি তেলের উপর আলাদা আলাদাভাবে শুল্ক বসায় কেন্দ্র–রাজ্য সরকার। রাজ্যের তুলনায় অনেকটাই বেশি কেন্দ্রের বসানো অন্তঃশুল্ক ও কর। করোনার প্রথম ধাক্কা আসার পরপরই কেন্দ্র জ্বালানি তেলের উপর অন্তঃশুল্ক অনেকটা বাড়িয়েছিল। যা পরে আর কমানো হয়নি।