সোমবার আবার বাড়ল পেট্রোল–ডিজেলের দাম। বাজার খুলতেই অয়েল মার্কেটিং কোম্পানিগুলি জানিয়েছে, পেট্রোলের নতুন দামের ওপর ২৯ পয়সা দাম বাড়ানো হল। আর ডিজেলের দাম বাড়ল ২৪ পয়সা। এই নিয়ে ৪ মে’র পর ১৬ বার জ্বালানির দাম বাড়ল। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই আরও চিন্তায় মধ্যবিত্ত। একদিকে করোনার লকডাউন অন্যদিকে দফায় দফায় বেড়ে চলছে পেট্রোল–ডিজেলের দাম। এতে ক্রমশ বাড়ছে বাজার দর।
প্রায় নিয়মিত বাড়ছে জ্বালানি তেলের দাম। এদিন দেশের তৈলসংস্থাগুলির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সোমবার লিটার পিছু পেট্রোলের দাম বেড়েছে ২৯ পয়সা। ডিজেলের দাম বেড়েছে লিটার পিছু ২৫ পয়সা। দেশের চার মহানগর–সহ সমস্ত শহরেই দাম নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। চার মহানগরের মধ্যে সবচেয়ে উপরে অবশ্য দেশের বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ের নাম রয়েছে। গত ২৯ মে সেখানে ১০০ টাকা ছুঁয়েছিল পেট্রোলের দাম। সোমবার সেই দাম পৌঁছে গেল লিটারে ১০০.৪৭ টাকায়। আর লিটার প্রতি ডিজেলের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯২ টাকা ৪৫ পয়সা।
দাম বেড়ে দিল্লিতে পেট্রোল–ডিজেল লিটার পিছু ৯৪.২৩ টাকা ও ৮৫.১৫ টাকা। মুম্বইতে পেট্রোলের দাম লিটার পিছু ১০০.৪৭ টাকা। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্র ১০০ পার করেছে। চলতি মে মাসেই এখনও পর্যন্ত ১৬ দিন পেট্রোল–ডিজেলের দাম বেড়েছে। মে মাসের আগের দুই মাস দেশের পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের প্রক্রিয়া চলছিল। তখন আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের মূল্যবৃদ্ধি সত্ত্বেও দেশের বাজারে পেট্রোল–ডিজেলের দাম বাড়েনি। সেই কোপটাই পড়ছে এখন।
এছাড়া চেন্নাই, বেঙ্গালুরুর মতো শহরেও পেট্রোল–ডিজেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী। মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানের একাধিক শহরে ইতিমধ্যেই সেঞ্চুরি করে পেট্রোল–ডিজেলের দাম। তার মধ্যে রয়েছে ভোপাল, জয়পুর, শ্রীগঙ্গানগর, হনুমানগড়, বিকানের, চুরুর মতো শহরও। এই মূল্যবৃদ্ধি আগামীদিনে বাজারদরকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।