পেট্রোল–ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি হতেই পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেল। আর তার জেরে রীতিমতো নাভিশ্বাস মধ্যবিত্তের। এখন প্রতি কিলো পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে ৪০ টাকায়। অর্থাৎ কেজিতে অন্তত ১০ টাকা করে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। এই দামবৃদ্ধিই মধ্যবিত্তের উদ্বেগের কারণ। করোনা আবহে চিকিৎসকরা পেঁয়াজ খেতে বলছেন। সেখানে এত দাম বাড়লে কেনা সম্ভব নয়।
গত বছরও পেঁয়াজের দাম বেড়েছিল। কিন্তু বণিকমহল বলছে, এই দুই বছরের মূল্যবৃদ্ধির কার্যকারণ আলাদা। ঠিক কি কারণে বাড়ল পেঁয়াজের দাম? জানা গিয়েছে, এই বছর পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির মূল কারণ হল—বাংলার পেঁয়াজের স্টক আপাতত শেষ। এখন বাজারে পেঁয়াজ বলতে যা আছে তা পুরোটাই নাসিক থেকে আনা। করোনা পরিস্থিতিতে মহারাষ্ট্র হোক বা বাংলা হাজারো বিধিনিষেধ। তাই নাসিক থেকে পেঁয়াজ আনতে পরিবহণের জন্য বেগ পেতে হচ্ছে। সঙ্গে যোগ হয়েছে ঊর্ধ্বমুখী পেট্রোল–ডিজেলের দাম।
পেঁয়াজ বিক্রেতারা বলছেন, খুব তাড়াতাড়ি এই বছর বাংলার পেঁয়াজের ভাণ্ডার শেষ হয়ে গেল। এখন পেঁয়াজ মানেই ভরসা নাসিক। তাই খুচরা বাজারে হঠাৎ এমন দাম বৃদ্ধি। এক দিনেই কেজি প্রতি ১০ টাকা দাম বেড়ে গিয়েছে পেঁয়াজের। আগে যে পেঁয়াজ ৮০০-৯০০ টাকায় কিনতাম এখন তা ১২০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বাংলার পেঁয়াজ প্রচুর পরিমাণে রপ্তানি হয়ে গিয়েছে বাংলাদেশ। তাই বাংলার পেঁয়াজ মে মাসের শুরুতেই শেষ। যার মাশুল আগামীদিনেও গুনতে হবে মধ্যবিত্তকে। আজ ২৫ টাকার পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে ৪০ টাকায়। আগামী দিনে এই দাম কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় সেটাই দেখার।
