জম্মুর বায়ুসেনা ছাউনিতে ড্রোন হামলা বিক্ষিপ্ত ঘটনা নয়। ভারতের যে কোনও প্রান্তে আবারও ড্রোন হামলা হতে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই বিষয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং বায়ুসেনাকে প্রতিটি সীমান্ত এলাকায় সতর্ক করা হয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতেই ভারত সরকার তৈরি করছে কাউন্টার ড্রোন পলিসি। সেনাপ্রধান মুকুন্দ নারাভানে বলেন, ‘জম্মুর ড্রোন হামলার পিছনে সরাসরি পাকিস্তান থাকতে পারে। থাকতে পারে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনও। ইতিমধ্যেই ভারতের সামরিক বিভাগ একটি কাউন্টার মনিটরিং ও ট্র্যাকিং মেকানিজমও তৈরি করেছে।
আজ সেনাপ্রধান বলেন, ‘ড্রোন হামলা প্রতিরোধে সামরিক বিভাগ বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চলেছে। হঠাৎ দেশের সর্বত্র সকলের হাতে ড্রোন এসে যাওয়া এক বিরাট সমস্যার জন্ম দিয়েছে বলেই মনে করছেন সেনাপ্রধান। সুতরাং সেনাপ্রধানের এই মন্তব্য থেকেই স্পষ্ট যে, এবার বিয়েবাড়ি থেকে জলসা, খেলা থেকে জনসভায় যখন তখন ড্রোন ব্যবহারের উপর বিধিনিষেধ তথা প্রটোকল চালু হতে চলেছে। মঙ্গলবার রাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মধ্যে জম্মুতে ড্রোন হামলা নিয়ে বিশেষ বৈঠক হয়েছে।
সহজলভ্য হওয়ার কারণে জঙ্গিরাও ব্যবহার করার সুযোগ পাচ্ছে ড্রোন। জম্মুর ঘটনাটি সেই দিক দিয়ে দেশের প্রথম ড্রোন হামলা, যা সামরিক বাহিনী ও নিরাপত্তা এজেন্সির মধ্যে চরম উদ্বেগ তৈরি করেছে।
জম্মুর ড্রোন হামলাকে একপ্রকার ট্রায়াল হিসেবেই দেখছে সেনা ও নিরাপত্তা এজেন্সি। মাত্র দেড় মাস পরই স্বাধীনতা দিবস। স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষের সূত্রপাত। ঠিক তার আগেই জম্মু ও কাশ্মীরে এরকম হামলা সরাসরি চ্যালেঞ্জের বার্তা। এবার সম্ভবত আক্রমণের কৌশল বদলেছে জঙ্গিরা। নতুন বিপদ ড্রোন। এ ব্যাপারে প্রতিটি রাজ্য পুলিশকেও সতর্ক করা হচ্ছে বলেই জানা যাচ্ছে।