করোনা সংক্রমণের নিরিখে তৃতীয় স্থানে রয়েছে চেন্নাই। আক্রান্ত প্রায় ৩২ হাজার। তবু কনটেইনমেন্ট জোনের বাইরে লকডাউন শিথিল করেছিল প্রশাসন। কিন্তু তাতে সংক্রমণ আরও বেড়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ফের ১২ দিনের কঠোর লকডাউনে গেল চেন্নাই। হাতের বাইরে চলে যাওয়া পরিস্থিতিকে ফিরিয়ে আনতেই আনলক থেকে লকডাউনে হাঁটতে হল তাদের বলে মনে করা হচ্ছে।
এখন ভারতে আনলক–১ চলছে। আর তাতেই লকডাউন শিথিল হওয়ার সুযোগ নিয়ে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। কিছু কিছু জায়গায় তা বেশ উদ্বেগজনকই হয়েছে। এই পরিস্থিতি সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত জায়গাগুলিতে স্থানীয়ভাবে লকডাউন করা হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্র কিছু ঘোষণা করার আগেই সোমবার মুখ্যমন্ত্রী এড়াপল্লী পালানিস্বামী ঘোষণা করেন, চেন্নাই ও তার পার্শ্ববর্তী কিছু অঞ্চল ১৯ থেকে ৩০ জুন কঠোর লকডাউনে থাকবে।
প্রশাসনের নির্দেশ, চেন্নাই মেট্রোপলিটান পুলিশের আওতাভুক্ত এলাকায় লকডাউন চলবে। প্রথম দফার লকডাউনে যেমন বিধিনিষেধ ছিল, চেন্নাই আবার তেমনই ব্যাপার হবে। জরুরি পরিষেবায় নিযুক্ত কর্মী ছাড়া কাউকে তুলতে পারবে না অটো, বাস, ট্যাক্সি। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ছাড়া দোকানপাটও বন্ধ হয়ে যাবে। নিজেদের বাড়ির দু’কিলোমিটার অঞ্চলের মধ্যে থাকা দোকান থেকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য কিনতে হবে।