জেলা লিড নিউজ

ফের উত্তপ্ত ভাঙড়, চলল বোমাবাজি, মৃত ৩

পঞ্চায়েত ভোটে কারচুপির অভিযোগে মঙ্গলবার রাত থেকেই উত্তপ্ত ভাঙড়। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে দুই আইএসএফ কর্মী ও এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকদের একজন কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন। এছাড়াও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন পুলিশের এক পদস্থ কর্তা এবং এক পুলিশকর্মী। বুধবার সকাল থেকেই এলাকায় জোরদার পুলিশি টহল শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার ভাঙড়-২ ব্লকের কাঁঠালিয়ার গণনাকেন্দ্রে জেলা পরিষদের ভোটগণনায় আইএসএফ নেত্রী রেশমা খাতুনের অভিযোগ, তাঁদের জেলা পরিষদের প্রার্থী জাহানারা খাতুন প্রথমে পাঁচ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু পরে জানা যায় ৩৬০ ভোটে হেরে গিয়েছেন তিনি। এরপর আইএসএফ-এর পক্ষ থেকে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানানো হলে তা প্রত্যাখ্যান করা হয়। এরপর উত্তেজনা ছড়ায়। বোমা এবং গুলির শব্দে আতঙ্ক বাড়ে স্থানীয়দের মধ্যে।

আইএসএফ জানিয়েছে, পুলিশের গুলিতে তাঁদের বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে হাসান আলি নামে বছর ছাব্বিশের এক কর্মীর। কলাডাঙার বাসিন্দা হাসানকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার আরজিকর হাসপাতালে। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশের পোশাক পরে এসে আইএসএফ কর্মীকে খুন করেছে তৃণমূল দুষ্কৃতীরা, অভিযোগ আইএসএফের।

অন্যদিকে পুলিশের দাবি, মঙ্গলবার রাতে হাসানকে কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি আক্রমণ করেন। তাতেই প্রাণ হারিয়েছেন ওই যুবক। রাজু মোল্লা (৩৫) নামে আরও এক জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার পর থেকে এখনও পর্যন্ত পরষ্পর রাজনৈতিক হিংসায় রাজ্যে মৃত্যুর সংখ্যা ৪৭। বুধবার ভোট হিংসায় জখম কংগ্রেস কর্মীর মৃত্যু হল হাসপাতালে। সাগরদিঘির বাসিন্দা ওই কংগ্রেস কর্মীর চিকিৎসা চলছিল এসএসকেএমে। অন্যদিকে মালদার চাঁচলে মৃত্যু হয়েছে আরও এক তৃণমূল কর্মীর। বিজয় মিছিলে আচমকা আক্রমণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে এবং এটা তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ বলেই অভিযোগ।