গত সপ্তাহেই টিকার অকাল দেখা দিয়েছিল রাজ্যে। বিশেষ করে কভ্যাক্সিন টিকার জোগান বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বলে দাবি রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের বহু টিকাকরণ কেন্দ্র বন্ধ রাখতে হয়েছিল। গত মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে গিয়ে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে। সেখানেই তিনি টিকার অকাল নিয়ে দরবার করেন। এরপরই রাজ্যে ধাপে ধাপে করোনার টিকা পাঠাতে শুরু করেছে কেন্দ্র। চলতি সপ্তাহের সোমবার পশ্চিমবঙ্গে দেড় লাখ কোভ্যাক্সিন পাঠিয়েছিল কেন্দ্র। এই সোমবার এল আরও ২ লাখ ৯৪ হাজার ডোজ কভ্যাক্সিন। ফলে ফের টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে জোরকদমে।
রাজ্যের মুখ্যসচিব এক নির্দেশে জানিয়েছেন, যাদের কভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় ডোজ বাকি তাঁদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দিতে হবে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য দফতরও এক নির্দেশিকায় জেলাগুলিকে একই নির্দেশ দিয়েছে। ফলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, কভ্যাক্সিনের জোগান ঠিকঠাক থাকায় সাধারণের টিকাকরণ আরও জোর পাবে।
অপরদিকে শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক লোকসভায় এক হিসেব পেশ করে জানায় কোন রাজ্য কত টিকা পেয়েছে। তাতে দেখা পশ্চিমবঙ্গ অন্যান্য রাজ্য থেকে জনসংখ্যার নিরিখে অনেক কম টিকা পেয়েছে। বাংলার থেকে কম জনসংখ্যার রাজ্য গুজরাট বা কর্ণাটক বেশি টিকা পেয়েছে। সেগুলি সবই বিজেপি শাসিত রাজ্য। ফলে রাজ্যের তৃণমূল সরকার এতদিন যে দাবি করে আসছিল তার মান্যতা পেল বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
You must be logged in to post a comment.