দেশ লিড নিউজ

পাঁচ দশক পর নিভছে অমর জওয়ান জ্যোতির অগ্নিশিখা

পাঁচ দশক পর নিভতে চলেছে অমর জওয়ান জ্যোতির অগ্নিশিখা। ‘জাতীয় যুদ্ধ স্মারক’-এ প্রজ্বলিত শিখার সঙ্গেই মিশে যাবে সেই আগুন। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধে শহিদ ভারতীয় সেনাদের স্মৃতিতে দিল্লির ইন্ডিয়া গেটের কাছে তৈরি করা হয়েছিল স্মৃতিসৌধটি।

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধে জয়ী হয় ভারত। তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়, ভারতীয় জওয়ানদের রক্ত ও মুক্তিযোদ্ধাদের বলিদানের ভিতের উপর দাঁড়িয়ে তৈরি হয় বাংলাদেশ। যুদ্ধে শহিদ জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই এই স্মৃতিসৌধটি তৈরি করা হয়। এরপর ১৯৭২ সালে সাধারণতন্ত্র দিবসে এই শৌধ উদ্বোধন করেন তত্‍কালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী।

স্মারক তৈরির পর থেকে প্রতিবার প্রজাতন্ত্র দিবসের সকালে অমর জওয়ান জ্যোতিতে শ্রদ্ধা জানান দেশের রাষ্ট্রপতি, দেশের প্রধানমন্ত্রী, নৌসেনা, বায়ুসেনা ও স্থলসেনার প্রধানরা। কিন্তু পাঁচ দশক পর আজ, শুক্রবার সেই অনির্বাণ শিখাই নিভতে চলেছে। এপ্রসঙ্গে কেন্দ্রের বক্তব্য, অমর জওয়ান জ্যোতির অগ্নিশিখাকে নেভানো হচ্ছে না। এটা শুধু ‘জাতীয় যুদ্ধ স্মারক’-এ মিশে যাচ্ছে। বিষয়টা নিয়ে বিরোধীরা অপপ্রচার চালাচ্ছে।

প্রসঙ্গক্রমে, ২০১৯ -এ ইন্ডিয়া গেটের কাছে ‘ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়াল’ বা ‘জাতীয় যুদ্ধ স্মারক’ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে সোনালি অক্ষরে গ্রানাইট পাথরে খোদাই করা রয়েছে ২৫ হাজার ৯৪২ জন শহিদের নাম। প্রজাতন্ত্র দিবসের সকালে ‘জাতীয় যুদ্ধ স্মারক’-এ শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।

সূত্রের খবর, দু’টি সৌধ রক্ষণাবেক্ষণে ক্রমে জটিলতা দেখা দিচ্ছিল। তাই খরচ ও লোকবল সংরক্ষণের জন্যই এহেন পদক্ষেপ করা হয়েছে। সেখানে ১৯৪৭-৪৮ সাল থেকে শুরু করে গালওয়ানে চিনের সঙ্গে সংঘর্ষে শহিদ জওয়ানদের নামও রয়েছে। জঙ্গি দমন অভিযানে শহিদ হওয়া জওয়ানদের নামও রয়েছে সৌধটিতে। ২০২০-র পর থেকেই সাধারণতন্ত্র দিবসের দিন বদল আসে রীতিতে।

অমর জওয়ান জ্যোতির মতো ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালেও অনির্বাণ শিখা জ্বালানো হয়েছে। আজ বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ এক অনুষ্ঠানে সেই আগুনেই মিশে যেতে চলেছে অমর জওয়ান জ্যোতির আগুন।