আট মাস পর স্বাভাবিক হচ্ছে বাংলাদেশের বৃহত্তম স্থল চেকপোস্ট বেনাপোল সীমান্ত। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে বেনাপোল আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রীদের যাতায়াত বন্ধ ছিল। ভারত ভিসা শিথিল করায় নতুন মেডিক্যাল ভিসা ও পুরনো বিজনেস ভিসায় বাংলাদেশিরা ভারতে আসা শুরু করেছেন। এছাড়া ভারত থেকেও এমপ্লয়মেন্ট ও বিজনেস ভিসায় যাত্রীরা যাচ্ছেন বাংলাদেশে।
বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ওসি আহসান হাবিব জানান, ভারত সরকার চলতি মাস থেকে নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শিথিল করেছে।কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে নতুন মেডিক্যাল ভিসা, স্টুডেন্টস ভিসা ও পুরনো বিজনেস ভিসায় বাংলাদেশিরা ভারত যেতে পারবেন। আর ভারত থেকে এমপ্লয়মেন্ট ও বিজনেস ভিসায় বাংলাদেশে আসতে পারবেন।
ভারত থেকে যাওয়া নাগরিকদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। আর মেডিকেল টিমের ইনচার্জ সুজন সেন বলেন, ‘যাতায়াতের জন্য প্রত্যেকের কাছে কোভিড–১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেট থাকতে হবে। এরপরও বাংলাদেশে আসা সব যাত্রীকে স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। এই চেকপোস্টের স্ক্যানারটি অত্যন্ত আধুনিক। এটা বাইরের যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা অটোমেটিক নির্ণয় করতে পারে।
তবে যাঁরা ভারতে আসছেন, তাঁদের ৯০ শতাংশ মেডিকেল ভিসায়। টুরিস্ট ভিসা চালু হলে কর্ম–চঞ্চল ফিরে আসবে দু’দেশের চেকপোস্ট এলাকায়। মেডিকেল ভিসার মেয়াদ ৩ মাস থেকে ৬ মাসের জন্য দিলেও এই ভিসায় মাত্র একবার ভ্রমণের সুযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত তিনদিনে মাত্র ১৪২৯ জন এপার থেকে ওপারে গিয়েছেন এবং এসেছেন। তবে এখনও ভ্রমণ ভিসায় যাতায়াত চালু হয়নি। আর তা না হওয়া পর্যন্ত যাত্রীসংখ্যা বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই বলে মনে করা হচ্ছে।