আবহাওয়া দপ্তরের সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী আমফান এখন প্রবল থেকে সুপার সাইক্লোনে পরিণত হয়ে গিয়েছে। আর ২১ বছর পর আবার সুপার সাইক্লোনের জন্ম দিল বঙ্গোপসাগর। এখন প্রশ্ন উঠতেই পারে ২১ বছর আগের তথ্যটি কী? জানা গিয়েছে, ২১ বছর আগে, অর্থাৎ ১৯৯৯ সালে শেষবার সুপার সাইক্লোন দেখেছিল বঙ্গোপসাগর। তখন তা হানা দিয়েছিল ওড়িশায়। লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছিল পারাদ্বীপ–সহ উপকূল ওড়িশার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। মারা গিয়েছিলেন ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ।
আবহাওয়া দপ্তরের খবর অনুযায়ী, শক্তি অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়ের মোটামুটি পাঁচটি ভাগ থাকে। হাওয়ার গতিবেগ যদি ৬৩ থেকে ৮৮ কিমি ঘণ্টা প্রতি হয়, তাহলে সেটা মামুলি ঘূর্ণিঝড়। ৮৮ থেকে ১১৭ কিমি ঘণ্টা প্রতি হলে সেটা প্রবল ঘূর্ণিঝড়। আর হাওয়ার গতিবেগ যদি ১১৮ থেকে ১৬৫ কিমি ঘণ্টা প্রতি হয় তা হলে সেটা অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়। ১৬৬ থেকে ২২০ কিমি হাওয়ার গতিবেগ হলে সেটা চরম অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়। ২২১ কিমি প্রতি ঘণ্টা বা তার বেশি যদি হাওয়ার গতিবেগ হয়, তা হলে সেটা হবে সুপার সাইক্লোন। ১৯৯৯ সালের ওড়িশার ঘূর্ণিঝড়ের পর এই প্রথম সুপার সাইক্লোন দেখল বঙ্গোপসাগর।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের আরব সাগরে জন্ম নেওয়া ঘূর্ণিঝড় গোনু, সুপার সাইক্লোন হয়েছিল। যদিও ওমানে আছড়ে পড়ার সময়ে তার শক্তি অনেকটাই কমে যায়। একই ব্যাপার হতে পারে আমফানের ক্ষেত্রেও। সুপার সাইক্লোনে পরিণত হলেও, এটি উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর, অর্থাৎ বাংলার উপকূলের কাছে চলে এলে শক্তি অনেকটাই কমবে। মনে করা হচ্ছে স্থলভাগে প্রবেশ করার সময়ে এই ঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৬৫ কিমি।