দেশ ব্রেকিং নিউজ

মোদী–অধীর তরজায় সরগরম

মঙ্গলবার এক বিরল দৃশ্য দেখা গিয়েছিল রাজ্যসভায়। প্রধানমন্ত্রীর চোখে জল এসেছিল। বুধবার ঠিক তার উলটো দৃশ্য দেখা গেল। রাষ্ট্রপতির ভাষণের জবাবি ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী যখনই কৃষি আইন নিয়ে বলা শুরু করলেন, তখনই তাঁকে ‘বাধা’ দেওয়ার অভিযোগ উঠল লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরির বিরুদ্ধে। আর তা নিয়ে এখন জাতীয় রাজনীতি সরগরম।
প্রধানমন্ত্রীর কথা বলার সময় বারবার অধীর চৌধুরি কিছু বলার চেষ্টা করছিলেন। যার জেরে প্রধানমন্ত্রী একাধিকবার চুপ করে যান। কিন্তু তারপরও থামেননি বহরমপুরের সাংসদ। শেষপর্যন্ত বসে যেতে বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রী। কয়েক মুহূর্ত পরে ফের শুরু করেন। এবারে অধীরকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‌আপনার যা বলার ছিল, যা রেজিস্ট্রার করার ছিল, তা হয়ে গিয়েছে। এবার চুপ করুন।’‌ কিন্তু, অধীর তারপরও থেমে যাননি। বরং কৃষি আইনের বিরোধিতা করে সোচ্চার হন।
প্রধানমন্ত্রী যেটুকু বলেন তা হল— ‘‌কংগ্রেস এই আইনের রং নিয়ে আলোচনা করেছে। ভাল হতো যদি আইনের রং নিয়ে আলোচনা না করে বিক্ষোভের কারণ নিয়ে আলোচনা হতো।’‌ এই কথা বলার সঙ্গে সঙ্গেই ফের বিক্ষোভ দেখান লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা। তখন মেজাজ হারান প্রধানমন্ত্রী। আর ধমকের সুরে বলেন, ‘‌এবার বেশি হচ্ছে অধীররঞ্জনজি। সীমার বাইরে বেরবেন না। সীমার বাইরে কেন যাচ্ছেন?‌ আমি তো আপনাকে সম্মান করি। এবার থামুন। যা বলেছেন এতেই বাংলাতে তৃণমূলের থেকে বেশি প্রচার পেয়ে যাবেন। আপনার যা বলার ছিল, বলে দিয়েছেন।’‌
মোদীর এই ধমক ভালভাবে নেননি কংগ্রেসের সাংসদরা। রীতিমতো হই–হট্টগোল শুরু হয় লোকসভায়। আরও রেগে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‌এই বাধা দেওয়ার চেষ্টা, হট্টগোল, সবটাই একটা সুপরিকল্পিত রণকৌশল। সেই রণকৌশল হল সত্যিটা লুকিয়ে রাখার। ওঁরা যে বিভ্রান্তি কৃষকদের মধ্যে ছড়িয়েছেন, তার সত্যিটা যাতে প্রকাশ্যে না আসে, সেটা নিশ্চিত করার রণকৌশল।’‌